সৈয়দপুরে নীলসাগর ট্রেনের সহিত পুলিশ পিকআপ সংঘর্ষে ৪ পুলিশ সদস্য নিহত, ওসি সহ ৭ জন গুরুতর আহত

Saidpur Photo, 15.8মো. মোতালেব হোসেন : গতকাল ১৪ আগস্ট রাত ১১টায় নীলফামারী হইতে আগত নীলসাগর ট্রেনের সহিত সৈয়দপুর থানা পুলিশ পিকআপ ভ্যানের সাথে সংঘর্ষ হয়। ঘটনাটি ঘটে সৈয়দপুর ঢেলাপীর রেলগেট এলাকায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান ২ জন কনস্টেবল। বাকী দুইজন রংপুর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গুরুতর জখম হন ওসিসহ মোট ৭ জন।
ট্রেনটি পুলিশের পিকআপের পিছনে ধাক্কা মারে। ফলে পিছনে বসে থাকা কনস্টেবলরাই বেশি গুরুতর আহত ও নিহত হন। বাকিদের রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রহিয়াছেন।
এলাকাবাসী, স্থানীয় জনগণ ও স্থানীয় সাবেক কমিশনার অভিযোগ করেন যে, এই গেটটি অরক্ষিত। এ রাস্তায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোক যাতায়াত করে। ইতিপূর্বে আরও বহু লোক ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু রেল কর্তৃপক্ষ নির্বিকার থাকছে। কোন প্রকার গেট কিংবা গেটম্যান দেননি। ফলে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটিয়েই চলেছে। তারা আরও অভিযোগ করেন, কতজন মারা গেলে এখানে গেট হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শত শত কোটি টাকা রেলে বরাদ্দ দিয়েছেন। কিন্তু কোন গেট কিংবা গেটম্যান পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যাপক অনুসন্ধানে একাধিক রেল কর্মচারী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন যে, অফিসারেরা শুধুমাত্র কেনাকাটা নিয়ে ব্যস্ত। মাল কিনলে সাপ্লাইকারী ঠিকাদারের মাধ্যমে কমিশনের টাকা পকেটে ভরবে। ডিএস সাহেব ব্যস্ত তার নিজের বাসাবাড়ি লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে রাজকীয় বানানো। রেলপথ বিভাগের দায়িত্বে পিডাব্লুআই স্টাফরা ব্যস্ত কিভাবে রাতে কিংবা দিনে স্টেশন স্টক ইয়ার্ড কিংবা রেল কারখানা থেকে লোহা চুরি করে টাকা কামানো যায়। পিডাব্লু সাহেব তার ৭৩ জন অফিস কর্মচারীকে বসিয়ে রেখে বেতন দিচ্ছেন।
অন্যদিকে অরক্ষিত রেলগেটে ট্রেনে কাটা পড়ে কিংবা দুর্ঘটনা ঘটে মরছে নিরীহ সাধারণ মানুষ। এ রেলগেট দেখাশোনার দায়িত্ব কার? এটি সাধারণ মানুষ জানে না।
এ ব্যাপারে পিডাব্লুআই সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলে এই রকম ২৬টি অরক্ষিত গেট তার আওতায় রহিয়াছে।
আহত ওসিসহ গুরুতর জখম পুলিশের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক আব্দুল আজিজ, কনস্টেবল রিপন চন্দ্র ও সাদ্দাম হোসেনকে রংপুর মেডিকেলে নিবিড় পর্যবেক্ষনে রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *