মতলব দক্ষিণে যত্রতত্র অসংখ্য ওয়েল্ডিং কারখানা মানুষে দৃষ্টি শক্তি ঝুঁকির মুখে

মো:খোরশেদ আলম, মতলব দক্ষিণ(চাঁদপুর) সংবাদদাতা : নিয়ম নীতি তোয়ক্কা না করে মতলব দক্ষিণ উপজেলা সদর ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাজারগুলোতে যত্রতত্রভাবে গড়ে উঠেছে ওয়েল্ডিং কারখানা। এসব ওয়েল্ডিং কারখানার অতি আলোর রশ্মির কারণে মানুষের চোখ ক্ষতির মুখে পড়ছে। ফলে কিছু স্বার্থলোভী ব্যবসায়ী নিজের স্বার্থের কারণে বিশাল জনগোষ্ঠির দৃষ্টি শক্তি ঠেলে দিচ্ছে ঝুঁকির মুখে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মতলব বাজারের বিভিন্ন সড়কে ওয়েল্ডিং কারখানা গড়ে ওঠায় পথচারী, কোমলমতি ছেলে-মেয়েরাসহ আবালবৃদ্ধবনিতা পরছে চরম দূর্ভোগে। এ ছাড়া উপজেলা মুন্সিরহাট, নারায়ণপুর, নায়েরগাঁওসহ কমপক্ষে ১০/১২টি বাজারে দু’শতাধিক ওয়েল্ডিং কারখানা রয়েছে। এসব কারখানাগুলোতে দিনে/রাতে দোকানের সামনে ওয়েল্ডিং মেশিনের মাধ্যমে ঝালাইয়ের কাজ করছে। এর অতি আলোক রশ্মি শহরের স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রী ও সাধারণ জনগন এর চোখে বিভিন্ন রোগ দেখা দিচ্ছে।
শুধুমাত্র পৌর এলাকায় এসব ওয়েল্ডিং কারখানার সংখ্যা প্রায় শতাধিক। কারখানার সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলছে। যত্রতত্র অসংখ্য ওয়েলডিং কারখানা গড়ে উঠেছে। ব্যস্ততম সড়কগুলোর দুই ধারে এসব কারখানা গড়ে উঠায় লোক চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। মতলব শহরের খাস মহল রোড, রিক্স ষ্ট্যান্ড থেকে কলেজ গেইট পর্যন্ত প্রায় ১০/১২টি ওয়েল্ডিং কারখানা রয়েছে। এই সড়কের মাধ্যদিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী যাতায়ত করে। এসব ওয়েল্ডিং মেশিনের অতি আলোক রশ্মি চোখে পরার কারণে তারা বিভিন্ন চক্ষু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
পৌর এলাকার বাসিন্দা কাইয়ুম, বাবুল মিয়াজী, মো.মহসিন মিয়া, অভিযোগ করে বলেন, রাস্তার পাশ দিয়ে চলতে গিয়ে হঠাৎ ওয়েল্ডিং কারখানার আলোর রশ্মি চোখে পড়ার পর থেকে চোখে দিয়ে পানি ঝরছে। অনেক ডাক্তার দেখিয়ে ভাল হচ্ছে না। মতলব বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: করিব হোসেন বলেন, এসব কারখানা গুলো বিদ্যালয়ের চলাচলের পথে স্থাপন না করে শহরে বাহিরে করলে ভালো হয়। শব্দ দুষণ ও অতি বেগুনি রশ্মির কারণে ছেলে মেয়ের চোখের অনেক ক্ষতি হতে পারে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান বলেন, ওয়েল্ডিং এর আলোর রশ্মির দিকে তাকালে চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে এবং চোখের মধ্যে কড়কড় করতে থাকে। চোখে ছানি হতে পারে এতে চোখ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *