আদমদীঘিতে জলাবদ্ধতার কারনে আমন চাষ ব্যাহত হওয়ার আশাংকা
আদমদীঘি প্রতিনিধি : টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কারনে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলায় চলতি মৌসুমে কৃষকরা আমন ধান রোপন করতে পারছেন না। আমন ধান রোপন মৌসুম প্রায় শেষ হওয়ার পর্যায়ে আসলেও উপজেলার রক্তদহ বিল পার্শ্ববর্তি এলাকার নিচু জমিতে কৃষকরা ধান রোপন করতে পারেন নি।
উপজেলার আদমদীঘি সদর, সান্তাহার ইউনিয়ন ও সান্তাহার পৌর সভার প্রায় দুই হাজার হেক্টর জমি রয়েছে রক্তদহ বিলের পাশে। অন্যান্য বছর সাধারনত শ্রাবন মাসের মাসের মাঝামাঝি সময়ে কৃষকরা এ সকল জমিতে আমন রোপন শেষ করে ফেলতেন। কিন্তু এ বছরের চিত্র একেবারে ভিন্ন। বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলের পানিতে বিপুল পরিমান জমি এখনও অনাবাদি রয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে চলতি মৌসুমে উপজেলা ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌর এলাকার প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে আদমদীঘি সদর ইউনিযনের কদমা, করজবাড়ি, দক্ষিন গনিপুর, রামপুরা, মন্ডবপুরা, জোড় পুকুরিয়া, সান্তাহার ইউনিয়নের কাশিমিলা, প্রসাদখালি, দমদমা, সান্দিড়া, ছাতনী, ঢেকড়া এবং সান্তাহার পৌর সভার তারাপুর ও কাজিপুর গ্রামের বিপুল পরিমান জমি এখনও পানির নিচে তলিয়ে রয়েছে। দমদমা গ্রামের কৃষক আমজাদ হোসেন বলেন, তিনি প্রায় তিন একর জমিতে আমন ধান চাষ করেন। জমিতে পানি থাকার কারনে এখন পর্যন্ত তার অর্ধেকের ও বেশি জমিতে ধান রোপন করতে পারেননি। একই ভাবে প্রসাদখালি গ্রামের কৃষক নয়ন হোসেন বলেন, তার বেশিরভাগ জমি রক্তদহ বিলের আশপাশে। জমি থেকে পানি নেমে না যাওয়ায় তিনি ধান রোপন করতে পারেননি। সান্দিড়া গ্রামের কৃষক আক্কাস আলি বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বৃষ্টি অনেক বেশি, এ কারনে পানি জমি থেকে নামতে পারছেনা।
আদমদীঘি উপজেলা কৃষি অফিসার শাহাদুজ্জামান বলেন, আমন ধান রোপনের জন্য আরো বেশ কিছু সময় রয়েছে। এর মধ্যে পানি নেমে গেলে কৃষকরা স্বাভাবিক ভাবে ধান রোপন করতে পারবেন। যদি পানি নামতে দেরি হয় সে ক্ষেত্রে বিকল্প ধান রোপনের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হবে। তিনি বলেন, রক্তদহ বিলের বিভিন্ন শাখা খালে ক্রস ড্রাম দেওয়ার কারনে পারি নামতে কিছুটা সমস্য হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বরেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে।