কাহালুতে মাছের খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধিসহ নানা মুখী সমস্যায় বিপাকে পড়েছে চাষীরা

এম এ কাদের কাহালু(বগুড়া)সংবাদদাতা : মাছ ও রেনু পোনা উৎপাদনে উত্তরাঞ্চলের মধ্যে অন্যতম বগুড়ার কাহালু উপজেলা। প্রতি মৌসুমে এখানকার উৎপাদিত মাছ ও রেনু-পোনা স্থানীয় চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হতো। বর্তমানে মাছের খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি ও নিু মানের ফিডের কারণে লক্ষ লক্ষ টাকার লোকসানে বিপাকে পড়েছে মাছ চাষীরা।
কাহালু উন্নয়নে মাছ চাষীদের একক ভূমিকা প্রসাংসনীয়। সল্প পুঁজি বিনিযোগ করে এখানকার শত শত বেকার যুবকের বেকারত্ব ঘুঁচিয়ে উন্নতির চরম শিখরে পৌছেগেছে। এদের মধ্যে অনেকে হয়েছে হ্যাচারী মালিক ও বিশিষ্ঠ রেনু পোনা উৎপাদনকরী। যাদের হ্যাচারী সহ মাছ উৎপাদনের কাজে এলাকার হাজার হাজার বেকার শ্রমিকরা কাজ পেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে পরে জীবিকা নিবাহ করছে।শুধূ তাইনা এখানকার মাছ চাষীরা স্থানীয় চাহিদা পুরন করে দেশের বিভিন্ন জেলায় মাছ ও রেনু পোনা সততার সাথে সাথে সরবরাহ করে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন এবং উপজেলাবাসীর জন্য বয়ে নিয়ে এসেছেন বিরল সম্মান। বগুড়া-নওগাঁ রোডের পার্শ্বে অবস্থিত কাহালুর বিবির পুকুরের শাহ্ সুলতান-শাহ্ জালাল মৎস্য বীজাগারের প্রোঃ আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম পেয়েছেন জাতীয় স্বর্ণপদক পুরস্কার। এছাড়া আরো একাধিক মৎস্য উৎপাদনকারী হেচাঁড়ী মালিক পেয়েছেন রৌপ্য ও ব্রঞ্চপদক পুরস্কার। এক সময় উপজেলার অধিকাংশ মানুষ মাছ চাষের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়েছিল। হঠাৎ করে গত মৌসুম থেকে বাজারে মাছের খাদ্যের মূল্য বৃদ্ধি সহ নানা মুখী সমস্যয় এলাকার উন্নয়নের প্রধান এই খাতে নেমে এসেছে বিপর্যয়। বিগত দু’বছর যাবত মৎস্য উৎপাদনকারী চাষী ও হ্যাচারী মালিক লোকসান কেটে উঠতে পারছেনা। বিষয়টি নিয়ে একাধিক মৎস্য চাষীর সাথে কথা বলা হলে তারা জানান বিগত কয়েক বছরে পুকুর লীজের মূল্য,শ্রমিকদের মজুরী ও মাছের খাদ্যের মূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পেলেও সে হারে মাছের মূল্যতো বৃদ্ধি হয়েইনি বরঞ্চ কমেছে। একই অভিযোগ রেনু পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারী মালিকদের। তাদের ভার্ষ্য হলো মাছ চাষীরা আমাদের নিকট থেকে রেনু-পোনা নিয়ে গিয়ে চাষ করে লাভবান হত কিন্তু এখন তারা মাছ চাষ করে লাভবানতো হতো পারছেইনা প্রতিবার পড়ছে লোকসানের মুখে। এছাড়া আগের তুলনায় রেনু-পোনা উৎপাদনকারী হ্যাচারী ও নার্সারী বেশী হলেও পুকুর লীজের মূল্য ও বাজারে মাছের খাদ্যের মূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি হলেও কমেছে উৎপাদিত মাছের মূল্য। ফলে অনেক মাছ চাষী লোকসান গুনতে গুনতে ঋণ গ্রস্থ হয়ে পড়ে তারা আর এগতে পাছেনা। অনেকে আবার মাছ চাষ ছেড়ে দিয়ে অন্য ব্যবসার দিকে ঝুকে পড়ছে। এদিকে প্রকৃত কিছু মাছ চাষী ভবিষৎ এর আশায় এখনও মাছ চাষ অব্যহৃত রাখলেও মাছের খাদ্য হিসেব ব্যবহার করা বিভিন্ন কম্পানীর ফিড এর মান সম্পর্কে প্রশ্ন তুলেছেন। তাদের মতে সরকারী মনিটরিং জোরদার না থাকায় বাজারের ঢুকে পড়েছে নিু মানের (ফিড) মাছের খাদ্য সেগুলো ক্রয় করে পুকুরে প্রয়োগ করে আরো বেশী প্রতারিত ও ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। নানামূখী সমস্যার করণে মাছ চাষীরা পড়েছে বিপাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *