মংলা-ঘষিয়াখালি চ্যানেল রক্ষার স্বার্থে বাগেরহাটে ক্ষমতাধর প্রভাবশালীদের দখলীয় ৮২টি খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ কাজ শুরু
বাগেরহাট প্রতিনিধি : মংলা বন্দরের আন্তর্জাতিক নৌ রুট মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল রক্ষায় বাগেরহাটের রামপালে চ্যানেল সংলগ্ন ৮২টি সরকারী রেকর্ডিয় খালের অবৈধ বাঁধ অপসারণ কাজ শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রথম দফা অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের পর আবারো প্রবাহমান খালগুলোতে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ শুরু করে ক্ষমতাশীন মহলের সাথে সম্পৃক্ত প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি প্রধাণমন্ত্রীর পূন: কঠোর হুশিয়ারীর প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুর থেকে জেলা প্রশাসনের ৫টি মোবাইল টিম দ্বিতীয় দফায় পুনরায় অবৈধ ভাবে খালের উপর নির্মিত বাঁধ উচ্ছেদ শুরু করে। রামপাল উপজেলার বাঁশতলী ইউনিয়নের স্যাদলার খালের উপর নির্মিত বাঁধ কেটে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোঃ জাহাংগীর আলম।
জানা গেছে, সরকারের রেকর্ডিও খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে প্রভাবশালীদের চিংড়ি চাষের ফলে উপজেলার প্রায় দুই শতাধিক খাল এখন মৃত প্রায়। এর ফলে মংলা-ঘষিয়াখালী আন্তর্জাতিক নৌ চ্যানেলটি পলি জমে দ্রুত নাব্যতা হারায় । ২৫০ কোটি ব্যয় বরাদ্দে মংলা-ঘষিয়াখালি চ্যানেল পুন: খনন কাজ শুরু হলেও এ সব অবৈধ বাঁধ দেয়ার কারণে পানির প্রবাহ বাঁধা সৃষ্টি হওয়ায় খনন কাজে বিঘœতা সৃষ্টি হয়। এর ফলে দু’দফা পিছিয়েও নির্দ্ধারিত সময়ের মধ্যে খনন কাজের এক তৃতিয়াংশ সম্পন্ন করা যায় নি।
এ বিষয় বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম জানান, ইতিপূর্বে চ্যালেন সংলগ্ন মংলা ও রামপাল উপজেলার ৩২টি খালের দুই শতাধিক অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদ করে প্রশাসন। কিন্তু সম্প্রতি সময় আবারো কিছু অসাধু ব্যক্তি ওই সকল খালে বাঁধ দিয়ে পানির প্রবাহ বাধা গ্রস্থ করছে।
রামপালের বাঁশতলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, কেবল বাঁধ অপসারণই নয়, খাল গুলের নাব্যতা রক্ষায় দ্রুত খনন প্রয়োজন। একই সাথে জোয়ারের পানি থেকে এলাকাবাসিকে রক্ষায় স্লুইজ গেট নির্মানের দাবি জানান তিনি।
রামপালের ইউএনও রাজিব কুমার রায় জানান, সরকারের রেকর্ডি সকল খালের বাঁধ অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।