মহেশপুরের ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের সরকারের বরাদ্দকৃত ৭ বস্তা ভিজিএফের চাউল উদ্ধার, কর্তৃপক্ষ নিরব
মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ২নং ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে উপজেলা পিআইও অফিসের লোকজন ভিজিএিফের ৭ বস্তা চাউল উদ্ধার করে স্থানীয় জনগনের মাঝে বিতরন করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এলাকাবাসী ও পিআইও অফিস সূত্রে জানা গেছে, সরকারের বরাদ্দকৃত পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব ও দুঃস্থদের মাঝে ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের জন্য ৭শ ভিজিএফ কার্ডের চাউল আসে। সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরদার সরকারের নিয়ম অমান্য করে মাথা পিছু ১/২ কেজি করে চাউল কম দিয়ে নিজে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ইউনিয়ন পরিষদের সচিবের কম্পিউটার রুমে উদ্বিত ৭ বস্তা চাউল লুকিয়ে রাখে। চাউল বিতরনের ২০ দিন পার হলেও ঐ চাউল কোথাও হস্তান্তর করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি গোপন সূত্রে খবর জানাজানি হলে তড়িতঘড়িত উপজেলা পিআইও অফিস থেকে ২ব্যক্তি চেয়ারম্যানের উপস্থিতিতে গত ১লা আগস্ট দুপুরে পরিষদের ঐ কক্ষ থেকে ভিজিএফের এই চাউল উদ্ধার করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান জানান, বেশকিছু কার্ডের চাউল বিতরন করা হয়নি। চেয়ারম্যানকে বাঁচাতে তাৎক্ষনিকভাবে পিআইও অফিসের লোকজন স্থানীয় লোকজনের মাঝে এই চাউল বিতরন করে দিেেছ বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয়ভাবে আলড়নের সৃষ্টি হয়। এ ব্যাপারে পিআইও অফিস কর্তৃকপক্ষের নিকট জানতে চাইলে তারা এর সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এহেন কার্যকলাপে ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া জুরুরী এবং সেই সাথে অফিস কর্তৃপক্ষ তাকে ধিক্কার জানান। এলাকা ঘুরে জানা যায়, ঐ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অত্র এলাকায় অর্থ কেলেংকারী সহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসন নিরব থাকায় ইউনিয়নবাসী তার বিরুদ্ধে ঝাড়– মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে উক্ত চেয়ারম্যান আবুল কাশেম সরদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টার করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
মহেশপুর সেটেলমেন্ট অফিসের যাতায়াতের পথটি এখন অসাধু মুহুরীদের দখলে
মহেশপুর(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি ০৩ আগষ্ট ২০১৫ইং ঃ
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের একমাত্র যাতায়াতের পথটি উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তার সহযোগীতায় অফিসের কিছু নামধারী মুহুরীরা চেয়ার-টেবিল নিয়ে দখল করে বসে আছে। ফলে দূর দূরান্ত থেকে আসা অনেক সাধারণ মানুষকে ঐ সব নামধারী মুহুরীদের খপ্পড়ে পড়ে সর্বশান্ত হারিয়ে বাড়ী ফিরতে হচ্ছে।
এদিকে অফিসের বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল এখন ঐসব মুহুরীদের মাধ্যমে বাইরে বিক্রি হচ্ছে। যা উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আব্দুল লতিফের সহযোগীতায় হয়ে থাকে।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক অফিসের এক কর্মচারী জানান, উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আব্দুল লতিফের সহযোগীতায় কিছু অসাধু মুহুরীরা সেটেলমেন্ট অফিসের সামনে যাতায়াতের পথটি দখল করে বসেছে। শুধু তা না অফিসের স্টোর রুমের মধ্যে বাইরে থেকে আসা কিছু নামধারী মুহুরীরা গিয়ে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ফাইল গুলো উলোট-পালোট করেও বলার কেউ নেই।
উপজেলা সেটেলমেন্ট কর্মকর্তা আব্দুল লতিফ জানান, যারা চেয়ার-টেবিল নিয়ে বসে আছে তারা সবাই সেটেলমেন্ট অফিসের মুহুরী হিসেবে কাজ করে। তবে আমি তাদেরকে অনেক আগেই বলেছি চেয়ার-টেবিল নিয়ে অন্যত্র বসতে।