চুয়াডাঙ্গার ব্যাংক গুলোতে ঈদের আগে নতুন টাকার সংকটবিপাকে ব্যাংক কতৃপক্ষ, ভোগান্তির শিকার গ্রাহকরা
হাবিবুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গায় পবিত্র ঈদ উপলক্ষে সোনালী নতুন টাকার নোট না আসায় বিপাকে পড়েছেন ব্যাংক কতৃপক্ষ। অপর দিকে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। চুয়াডাঙ্গা জেলায় মোট ১৯টি সোনালী ব্যাংক রয়েছে। এছাড়া অগ্রণী, জনতা, পূবালী, রুপালী, উত্তরা, ইউসিবিএল, ইসলামী ব্যাংক ও ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডসহ প্রায় শতাধিক শাখা রয়েছে। অথচ নতুন টাকা সরবরাহের কোনো খবরই নেই ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানান, স্থানীয় অভিভাবক ব্যাংক হিসেবে পরিচিত সোনালী ব্যাংকের ওপর ভরসা করে থাকেন তারা। চুয়াডাঙ্গা এলাকায় ঈদ আসলেই নতুন টাকার ব্যাপক হারে চাহিদা বেড়ে যায়। ঈদের প্রিয়জন, ছোট,বড়, সকলকে উপহার হিসেবে দেয়া হয় নতুন টাকা নতুন টাকা হাতে পেয়ে এরা বিজয় খুশি হয়। বিশেষ করে ছোট, বাচ্চা ছেলে মেয়রা নুতন ভাজনা পড়া টাকা হাতে পেয়ে সবচেয়ে বেশি খুশিহয় এদেরকে এই টাকা দিয়ে সহজে ভুলানো যায়।
কয়েকদিন আগে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয় এবার যে পরিমান নতুন টাকার নোট বাংলাদেশ ব্যাংকে মজুদ রয়েছে তাতে প্রত্যেক নাগরিক সাড়ে নয় হাজার করে নতুন টাকা পাবেন। দামুড়হুদা উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকের স্থাস্থ্য- সহকারি আতিকুর রহমান জানান, এবার এলাকার কোন ব্যাংক থেকে নতুন টাকা সংগহ হরতে পারেনি। দামুড়হুদা বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোফাজ্জেল হোসেন বলেন, তিনিও নতুন টাকার জন্য যোগাযোগ করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দিতে পারেননি।
চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার শওকত আলী জানান, গত ২৮ জুন বাংলাদেশ ব্যাংকের পাঁচ কোটি টাকার চাহিদাপত্র দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। নতুন টাকা দেয়া হবে বলে কর্তৃপক্ষ মৌখিকভাবে আশ্বস্ত করেছিলেন। অথচ অদ্যবধি নতুন টাকার বিষয়ে কোনো চিঠি তারা পাননি। এমনকি ফোন করলেও ফোন ধরছে না। তবে ২০১৪ সালে আসা ৫শ’, ১শ’ ও দুই টাকার কিছু নতুন নোট রয়েছে। অন্য ব্যাংকগুলোর চাহিদা থাকলেও নতুন টাকা না আসায় সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপক সাব্বির আহমেদ খান জানান, গত ২৮ জুন চার লাখ টাকার চাহিদাপত্র দিয়ে সোনালী ব্যাংকে আবেদন করলেও অদ্যবধি টাকা পাননি তারা। গত বছরও একই পরিমান টাকা চেয়ে পাওয়া যায়নি। গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে কিছু টাকা খুলনা থেকে সংগ্রহ করতে হয়েছে।