২৫শ’ টাকায় ২৪মাস চাল পাওয়ার আশায় প্রতাড়না’র শিকার হাজার হাজার পরিবার কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান’র বিরুদ্ধে প্রেস ক্লাব মোল্লাহাটে সংবাদ সম্মেলন
মোল্লাহাট (বাগেরহাট) সংবাদদাতা: বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খুর্শিদা বেগম এনজিও’র মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে একাধারে ২৪মাস পর্যন্ত ভাল মানের খাবার চাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার পরিবার/জনগণ’র থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের হস্থক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন ভুক্তভোগিরা। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রেস ক্লাব মোল্লাহাটে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি অসহায় লোকদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন-উপজেলার গিরিশনগর গ্রামের চান মিয়া মোল্লার স্ত্রী হাসিয়া বেগম। ওই সম্মেলনে ভুক্তভোগিদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন-মিনু বেগম, তছিরন বেগম, রাজিয়া বেগম, রেশমা, ছবেদা, আমেনা, তোবারেক ও উজ্জল সহ অনেকে। লিখিত বক্তব্য ও প্রশ্নোত্তরে ভুক্তভোগী বিভিন্ন কেন্দ্র প্রধান জানায়-ওই চেয়ারম্যান গাওলা গ্রামে নিজের বাড়িতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দীর্ঘ ৭/৮ মাস যাবৎ “দোলা মহিলা কল্যাণ সংস্থা” নামক এনজিও’র মাধ্যমে মোল্লাহাট, ফকিরহাট ও চিতলমারী উপজেলা এলাকায় সাধারণ পরিবার/জনগণ’র মাঝে বিনামূল্যে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে দুই বছর মেয়াদে চাল বিতরণ করা হবে বলে প্রচারনা চালান। ওই খবরে গ্রামের সহজ-স্বরল লোক/পরিবার ছুটে আসলে খরচের কথা বলে প্রতি কার্ডে ২৫০০/=করে টাকা চায় ভাইস চেয়ারম্যান খুর্শিদা বেগম। যারা টাকা দেয় কেবল তাদেরকে তড়িঘড়ি করে ৩০ কেজি চাল দেয়। যে কারনে অন্যান্যরাও আকৃষ্ট হয়ে ২৫০০/=করে টাকা দেয় এবং কার্ড করতে থাকে। ২৪মাস চাল দেয়ার শর্তে ১ম মাসে গুটি কয়েক পরিবারে ৩০ কেজি, ২য় মাসে ২৬ কেজি ও ৩য় মাসে ২২ কেজি করে বেশ কিছু কার্ডধারীর মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। একপর্যায়ে ১০/১২হাজার লোকের থেকে ২৫/২৬ শ’ করে কয়েক কোটি টাকা নেয়ার পর গত এপ্রিল মাস থেকে চাল না দিয়ে সকলকে আজ-কাল-পরশু দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হয়রানী করে চলেছেন। তাছাড়া বর্তমানে ওই চেয়ারম্যানের বাড়িতে এনজিওর সাইনবোর্ডও নেই। বিধায় সকলের ধারনা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতাড়নার মাধ্যমে অসহায় জনগনের কোটি কোটি টাকা আতœসাতের জন্য ওই সাইনবোর্ড টাঙ্গানো সহ শুরুতে কিছু কার্ডধারীদের মাঝে চাল দিয়েছে। আরো অবাক কর বিষয় হচ্ছে-যা কিছু/সামান্য চাল দেয়া হয়েছে তার অধিকাংশ বিভিন্ন আড়ত/ব্যাবসায়ীর থেকে নগদ টাকার স্থলে চেক দিয়ে/বাকিতে সংগ্রহ করেছে এবং অনেকের থেকে টাকা নিলেও কার্ড দেয়া হয়নি। এমতাবস্থায় সদস্যদের প্রতিনিধি/কেন্দ্র প্রধান নারী/পুরুষ প্রতিদিন ওই চেয়ারম্যানের বাড়িতে ঘুরছেন। সদস্য প্রতিনিধি/কেন্দ্র প্রধান সকলে স্বরলতার মাধ্যমে সদস্যদের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়ে ওই ভাইস চেয়ারম্যানকে দিয়ে চাল/টাকা ফেরত না পাওয়ায় চরম বিপাকে/চাপে পড়েছেন । মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খুর্শিদা বেগমের প্রতাড়নায় সার্বিক সহযোগিতার অভিযোগ করা হয়েছে যাদের বিরুদ্বে তারা হলেন-ওই চেয়ারম্যানের স্বামী হাফিজুর রহমান, মেয়ে স্বপ্না (ক্যাশ সহকারী), মেয়ে বিজলি ও ছেলে জুয়েল, জনৈক সেলিনা বেগম (নির্বাহী পরিচালক), জনৈক ফজলু (ম্যানেজার), সমিরন বেগম (মার্কেটিং) ও সোবান বিশ্বাস (গাড়ী চালক) সহ কিছু অসাধু বেক্তি । সংবাদ সম্মেলনে আরো অভিযোগ করেন যে ওই চেয়ারম্যান বিধবা ও বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে অনেকের থেকে ৪/৬ হাজার করে টাকা এবং নিজের বাড়িতে নির্মনাধীন ক্লিনিকে অধিক বেতনে চাকুরি দেয়ার কথা বলে বেশ কিছু লোকের থেকে বলে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই সকল ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ ও সমুদয় টাকা ফেরত পেতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্থক্ষেপ প্রার্থনা করেছেন সকলে।