ঈদ কে সামনে রেখে সৈয়দপুরে রেলওয়ের যন্ত্রাংশ চুরির হিড়িক, সিন্ডিকেট নেতারা ধরাছোয়ার বাইরে
মোঃ মোতালেব হোসেন,(নীলফামারী): সৈয়দপুর রেলপথ বিভাগ থেকে অবাধে চুরি হচ্ছে রেল লাইন সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। অথচ এসব চুরির ব্যাপারে মাথাব্যাথা নেই রেল কর্তৃপক্ষের। ফলে আইনের ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে ব্যাপক আলোচিত সৈয়দপুর লোহা চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতা ও গডফাদাররা। নীলফামারীর সৈয়দপুর রেলপথ বিভাগে বেড়েই চলেছে রেললাইন, রেল সরঞ্জাম ও রেল ওয়ার্কসপ চুরির ঘটনা। আর এসব চুরির ঘটনা ঘটছে সৈয়দপুর রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকার রেলপথ বিভাগের নিয়ন্ত্রণাধীন স্টক ইয়ার্ড (মালামাল মজুদের স্থান থেকে)। এ ব্যাপারে ১০ অক্টোবর ২০১৩ দৈনিক নয়া দিগন্ত পত্রিকায় সৈয়দপুর রেলগেট বাজার এলাকায় রেল ওয়ার্কসপের ১২ নম্বর গেটের সামনে চুরি হওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৫ ফুট লম্বা রেললাইন একটি ৬ ফিট করে ২৬টি টুকরা রেললাইন ২টি গ্যাস সিলিন্ডার ও রেললাইন কাটার যন্ত্রসহ বিভিন্ন রেলসরঞ্জাম উদ্ধার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ। অথচ ক্রাইম এলাকাটি জিআরপি থানার আওতায় পড়ে। অদ্যবধি শোনা যায় উক্ত মালের কোন অভিযোগ কিংবা কোন চোর গ্রেফতার হয়নি। অনুরূপভাবে গতকাল ১২ জুলাই ২০১৫ তারিখ বিকাল ৫ ঘটিকার সময় মিস্ত্রিপাড়া রেলওয়ার্কসপ এলাকায় একটি গোপন জায়গা হতে রেলপথ কারখানা শাখার ভিতরের কিছু রেললাইন চোরদের মাধ্যমে শহরের বাইপাস দিয়ে পাওয়ার টলিতে করে পাচারকালে টার্মিনাল এলাকায় ম্যাচ ফ্যাক্টরীর পাশে স্থানীয় জনগণ পাওয়ার ট্রলিটি আটক করলে উপরে খড় দিয়ে ঢাকা, খড় সরালে দেখা যায় নিচে ১৪ পিচ রেললাইন যার দৈর্ঘ্য ৮ ফিট লম্বা দিয়ে ভর্তি। সঙ্গে সঙ্গে দাবানলের সাংবাদিক সহ অন্যান্য সাংবাদিককে জানালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পাওয়ার টিলার টলির ড্রাইভারকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন মালটি মিস্ত্রিপাড়া থেকে নিয়ে আসছেন। মালটি শহরে একজন ব্যবসায়ীর গোডাউনে যাবে। কিছুক্ষন পর মাল ছাড়ানোর তদবির করতে আসেন মাল চোর সিন্ডিকেট আইনুল গ্রুপ। তার সঙ্গে আসেন মাল কেনার মহাজন। কিন্তু স্থানীয় জনগণ মালটি কাউকে না দিয়ে সৈয়দপুর বেঙ্গল থানায় খবর দেয় ও পুলিশ এসে মাল থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে আইনুলের সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান মালগুলো রেলওয়ে ওয়ার্কসপের। রেলওয়ে ওয়ার্কসপের কিছু অসাধু কর্মকর্তা ও রেল নিরাপত্তা বাহিনীর ২ জন সদস্য এই চুরির সঙ্গে জড়িত। তারা শুধুমাত্র পয়সার বিনিময়ে এই মামলগুলি বাহিরে নিয়ে আসে ও মার্কেটে বিক্রি করে। রেল নিরাপত্তা বাহিনীর যে ২ জন সদস্য উক্ত ঘটনার জন্য দায়ী তাদের নাম জানতে চাইলে তিনি বলেন নিরাপত্তা এএসআই বাবুল শেখ ব্যাচ নম্বর ৪২৪ নেনু মন্ডল ব্যাচ নম্বর ২০৭। তাছাড়া সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় একজন রেলওয়ের গডফাদার। এ ব্যাপারে বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রেলওয়ে কারখানা সৈয়দপুর ডিএস সাহেবকে তার মোবাইল নম্বর ০১৭১১৫০৬১৩৪ জানালে তিনি রাগান্বিত হয়ে বলেন যে, আমি রেল কারখানা পাহাড়া দেই না। আপনারা সাংবাদিকতা করলে আমার সামনে এসে কথা বলেন। আমরা তাকে প্রশ্ন করি যে, আপনার রেল কারখানা এলাকাটি একটি ক্রাইম জোন। সেখানে সাংবাদিকের নিরাপত্তা কম আছে। তাই যাওয়া সম্ভব নয়। রেল নিরাত্তার চীপ লালমনিরহাট ও জিএম খাইরুল ইসলাম রাজশাহী সাহেবকে মোবাইল টেলিফোনে ঘটনাটি জানালে তারা আন্তরিকতার সহিত ঘটনাটি শোনেন এবং আশ্বস্ত করেন যে, আমরা উক্ত ঘটনাটির যথোপযুক্ত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো বলে আশ্বস্ত করেন। রেলওয়ে ওয়ার্কসপে দ্রুত চুরি বন্ধের কল্পে সিসিটিভি লাগানোর ব্যাপারে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন এটি আপাতত দেরী আছে।