চাচা জজ কোর্টের স্পেশাল পিপি, তাই ভাতিজার কোন সমস্যা নেই

মোঃ লিটন হোসেন, খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত ব্যুরো প্রধান: শৈলকূপার দেবতলা গ্রামের আতিয়ারের ছেলে মাছুদ (২২)এখন তিন নম্বর দিগনগর ইউনিয়নের এক সন্ত্রাসীর নাম। কিন্তু পুলিশের খাতায় তার নাম নেই কারন তার চাচা ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের একজন নেতা ও জেলা জজ আদালতের স্পেশাল পিপি। এই অঞ্চলের সাধারন জনগণ চরম দুরাবস্থায় মাধ্যম দিয়ে দিন চালাচ্ছে। এলাকায় নিরীহ মানুষের উপর অত্যাচার,নারী নির্যাতন বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে জোর পূর্বক চাঁদা আদায় এই মাছুদের এখন প্রতিদিনের কাজের অংশ।
এর মাঝে হরিদের পুর গ্রামের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে সংসদ সদস্য মহোদয়ের শরণাপন্ন হলে তারা এই চাঁদা দেওয়া থেকে মুক্তি পায়। নাম প্রকাশ না করার শর্ত মোতাবেক তারা এই কথাগুলি জানিয়েছে। সর্বশেষ ০৬/০৭/২০১৫ তারিখে এক সাংবাদিক কে মারধরের অভিযোগ উঠেছে এই মাসুদের বিরুদ্ধে । সুত্রে মতে জানা যায় বারইপাড়া কমিউনিটি ক্লিনিকের কর্মী জুবায়দা খাতুন যথাযথ নিয়মে এই ওয়ার্ড স্বাস্থ্য কমিউনিটি কেন্দ্রাটা খোলা রাখেন না। গত ০৫/০৬/২০১৫ তারিখে বেলা এক ঘটিকার সময় শৈলকূপা যাওয়ার পথে সপ্তাহিক অপরাধ তথ্যচিত্রের খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত ব্যুরো প্রধান মোঃ লিটন হোসেন দেখতে পান যে ঐ কমিউনিটি সেন্টারে তালা ঝুলছে তাই তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগের থানা কর্মকর্তা ডাক্তার বাবর খন্দকারকে জানতে চাওয়া হয় যে আপনার বারই পাড়া স্বাস্থ্য কমিউনিটি সেন্টার বন্ধের কারন কি? তখন তিনি বারইপাড়া স্বাস্থ্য কমিউনিটি সেন্টার সংশ্লিষ্ট কর্মীকে ফোন করে জানতে চান গতকাল ১ টার সময় তিনি কোথায় ছিলেন। এই ঘটনার পর একটি অচেনা নাম্বর ০১৭৮১১৫৭৯২৪ থেকে লিটন হোসেনের নাম্বারে কল করে বলেন যে আমাদের এখানে একটি ঘটনা ঘটেছে আপনি একটু সরেজমিনে এসে একটি নিউজ করেন। আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকায় লিটন সেখানে পৌছে তারপর প্রায় ২ মিনিট পর মোটর সাইকেলে যোগে ৩ সন্ত্রাসী এসে জানতে চায় লিটন কে?তখন লিটন পরিচয় দিলে এই তিন সন্ত্রাসী লিটনের উপর হামলা চালিয়ে বলেন কেন তুই কমিউনিটি সেন্টারের নামে অভিযোগ করলি তোকে যদি আমারা এখানে মেরে ফেলি তো কেউ দেখতে আসবে না। এই কথা বলে দিকবেদিক ভাবে তাকে কিল ঘুসি মারতে থাকে। তারপর বলে যে আজকের যে ঘটনা ঘটল তা যদি নিউজ করিস তাহলে কেউ তোকে বাঁচাতে পারবে না। পরে এলাকাবাসীর তথ্য মতে জনা যায় যে এর মধ্যে দেবতলা গ্রামের আতিয়ারের ছেলে মাছুদ ও নিকবর মণ্ডলের ছেলে শিপন হরিদেব পুর গ্রামের নরেন মণ্ডলের ছেলে উত্তম পারানিক। শিপন মাছুদের চাচাত ভাই এর উত্তম শিপনের বন্ধু । এই মর্মে সাংবাদিক লিটন হোসেন শৈলকূপা থানায় মামলা করতে গেলে শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ রহস্য জনক ভাবে মামলা না নিয়ে একটি সাধারন ডায়রি গ্রহণ করেন । ২০১৩ সালে এই মাছুদ হাবিব পুরের জৈনক এক ব্যাক্তির কলেজ পড়ুয়া মেয়ে কে দীর্ঘদিন অপহরণ করে রেখে বিবাহ করে তারপর সুযোগ পেয়ে ঐ মেয়ে তার বাপের বাড়ী চলে গেলে আবার নিয়ে আশে বর্তমানে সেই মেয়েটি মাছুদের সাথে আছে। দুর্দান্ত দাপড়ের কারনে এই মাছুদের সামনে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না। সুত্রে জানা গেছে তার একটি মাছুদ বাহিনী হিসাবে একটি দল আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *