লোহাগড়ায় একটি সেতুর জন্য ভোগান্তি ২০ হাজার মানুষের বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা

Lohagara pic(3)
কাজী আশরাফ,লোহাগড়া(নড়াইল) : মাত্র একটি সেতুর জন্য দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন চার গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। জনগনের দীর্ঘদিনের দাবী পূরণ না হওয়ায় সব মহলে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলার মল্লিকপুর ইউপির ঐতিহ্যবাহি বানকানা ঘাট এলাকায় একটি বাশের সাকো তৈরী করে এলাকার সাধারণ মানুষ পার হচ্ছে। আর এখানে পাকা সাকোর অভাবে থমকে গেছে চার গ্রামের উন্নয়ন কার্যক্রম। এপারে পারমল্লিকপুর গ্রাম। ওপারে চরমল্লিকপুর। মাঝখানে নবগঙ্গা নদী। নদীটি এ জায়গায় শুকিয়ে এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। এ নদী বিভক্ত করেছে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার মল্লিকপুর ইউনিয়নকে। কিন্তু সেতুর অভাবে ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন পার হতে হয় কয়েক হাজার মানুষকে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় আজও এখানে গড়ে ওঠেনি একটি সেতু।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নবগঙ্গা নদীর এক পাড়ে রয়েছে মল্লিকপুর ইউনিয়নের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স¦াস্থ্য কেন্দ্র ও মাদ্রাসা। অপর পাড়ে এ ইউনিয়নের প্রায় পাঁচ হাজার জনসংখ্য অধ্যুষিত পারমল্লিকপুর গ্রাম, পাশ্ববর্তী লোহাগড়া পৌর এলাকার খলিশাখালী ও রাজুপুর গ্রাম, ঈদগাঁ ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সদর।
মল্লিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সাহিদুর রহমান বলেন, ‘ভূমি কার্যালয়, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্বাস্থ্যসেবা নিতে প্রতিদিন কয়েকশ’ মানুষকে যেমন নদী পার হতে হয়। অন্যপাড়ের মানুষকে উপজেলা সদরে যাতায়াতসহ সামাজিক কর্মকান্ডের জন্য প্রতিনিয়ত পার হতে হয়। এছাড়া পার হতে হয় শিশু শিক্ষার্থীদের। এদের একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো। এ সাঁকো দিয়েই প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ বাধ্য হয়ে পার হচ্ছেন। আইন শৃঙ্খলা রক্ষায়ও সমস্যা হয়।’ তিনি জানান, মাত্র ৭০ ফুট সেতুর অভাবে এ দুর্ভোগ এলাকার মানুষের।
স্থানীয় লোকজন জানান, এ সেতুর দাবিতে আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। জনপ্রতিনিধিরা সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রতিও দিয়েছেন। কিন্তু কোনো কাজ হয়না। তারা জানান, সেতুর অভাবে বেশি বিপাকে পড়েন গর্ভবতী ও প্রসুতি মহিলা এবং শিশু শিক্ষার্থীরা। আতঙ্কে থাকেন অভিভাবকরা।
লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ ফয়জুল আমির লিটু বলেন, ‘এখানে সেতু না থাকায় উভয় পাড়ের প্রায় বিশ হাজার মানুষকে ভোগাস্তি পোহাতে হচ্ছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *