বাগেরহাটে ধর্ষিত ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন ধর্ষণকারীকে আটকের তৎপরতা চলছে
বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে বুধবার রাত ভর ধর্ষণের শিকার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর ডাক্তারী পরিক্ষা শুক্র ও শণিবার বাগেরহাট সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার হওয়া ধর্ষিতা ছাত্রীর জবানবন্দীর ভিত্তিতে শুক্রবার মোরেলগঞ্জ থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অন্যদিকে,ধর্ষনের শিকার কিশোরী উদ্ধারের পর গ্রাম্য কথিত মাতব্বরেরা ঘটনাটি আপোষ মিমাংসা করার জন্য অপচেষ্টা চালায়। আর এ কারণেই মামলা দায়েরের জন্য থানায় যেতে একদিন দেরী হয় বলে জানা গেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ মামলা দায়েরের অব্যবহিত পরই ওই ছাত্রীকে শারিরীক পরীক্ষার জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালে পাঠায়। তবে ছুটির দিন থাকায় ধর্ষিতা কিশোরীর শারিরীক পরীক্ষা আংশিক সম্পন্ন করে পর দিন হাজির করতে বলা হয়। শণিবার বাকী পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
কিশোরীর শারিরীক পরীক্ষায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা ধর্ষণের আলামত বা পরীক্ষা সংক্রান্ত কোন কথা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন। ধর্ষনের শিকার কিশোরী খুলনার স্টার জুট মিল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।
মোরেলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গত বুধবার রাত ৮টার দিকে ওই ছাত্রী একাকী মোরেলগঞ্জ উপজেলার মালমগাছা গ্রামে তার চাচার বাড়ি থেকে পার্শ্ববর্তী বৌলতলী গ্রামে দাদার বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মালমগাছা গ্রামের মৃত জবি খাঁর ছেলে হায়দার খাঁ (৪৫) ওই ছাত্রীটিকে কবির খন্দকারের নারিকেল বাগানে নিয়ে মুখ বেঁধে কয়েক দফা ধর্ষণ করে। রাত ২টা পর্যন্ত ছাত্রীটির ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয় । খোঁজা খুঁজির পর রাত ৩টার দিকে ছাত্রীর চাচা কালাম শেখ তার ভাতিজিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে ।
এ ঘটনায় গ্রাম্য লোকদের বাঁধার কারণে উদ্ধারের সাথে সাথে ক্ষতিগ্রস্থ পক্ষ থানায় আসার সুযোগ পায় নি বলে ওসি জানান। সময়ের স্বার্থে ভিকটিমের চাচি শিল্পী বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে মামালা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
শুক্রবারই থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলার একমাত্র আসামি হায়দার খাঁ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের পুলিশী জোর তৎপরতা চলছে বলে পুলিশ জানায়।