২৫শ’ টাকায় ২৪মাস চাল পাওয়ার আশায় প্রতাড়না’র শিকার হাজার হাজার পরিবার মোল্লাহাট’র মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান’র বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ
এম এম মফিজুর রহমান, মোল্লহাট: বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খুর্শিদা বেগম এনজিও’র মাধ্যমে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে একাধারে ২৪মাস পর্যন্ত ভাল মানের খাবার চাল দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হাজার হাজার পরিবার/জনগণ’র থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে ভুক্তভোগিরা জানিয়েছেন। ভুক্তভোগি অসহায় পরিবার ও বিভিন্ন কেন্দ্র প্রধান সুত্রে প্রকাশ-ওই চেয়ারম্যান গাওলা গ্রামে নিজের বাড়িতে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দীর্ঘ ৭/৮ মাস যাবৎ “দোলা মহিলা কল্যাণ সংস্থা” নামক এনজিও’র মাধ্যমে মোল্লাহাট, ফকিরহাট ও চিতলমারী উপজেলা এলাকায় সাধারণ পরিবার/জনগণ’র মাঝে বিনামূল্যে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে দুই বছর মেয়াদে চাল বিতরণ করা হবে বলে প্রচারনা চালান। ওই খবরে গ্রামের সহজ-স্বরল লোক/পরিবার ছুটে আসলে খরচের কথা বলে প্রতি কার্ডে ২৫০০/=করে টাকা চায় ভাইস চেয়ারম্যান খুর্শিদা বেগম। যারা টাকা দেয় কেবল তাদেরকে তড়িঘড়ি করে ৩০ কেজি চাল দেয়। যে কারনে অন্যান্যরাও আকৃষ্ট হয়ে ২৫০০/=করে টাকা দেয় এবং কার্ড করতে থাকে। ২৪মাস চাল দেয়ার শর্তে ১ম মাসে গুটি কয়েক পরিবারে ৩০ কেজি, ২য় মাসে ২৭ কেজি ও ৩য় মাসে ২৩ কেজি করে বেশ কিছু কার্ডধারীর মাঝে চাল বিতরণ করা হয়। একপর্যায়ে ১০/১২হাজার লোকের থেকে ২৫/২৬ শ’ করে কয়েক কোটি টাকা নেয়ার পর গত এপ্রিল মাস থেকে চাল না দিয়ে সকলকে আজ-কাল-পরশু দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে হয়রানী করে চলেছেন। তাছাড়া বর্তমানে চেয়ারম্যানের বাড়িতে এনজিওর সাইনবোর্ড এবং ওই এনজিওর নির্বাহী পরিচালক পরিচয়ধারী সেলিনা ও ম্যানেজার পরিচয়ধারী ফজলুকে দেখা যায়না। বিধায় সকলের ধারনা ভাইস চেয়ারম্যান প্রতাড়নার মাধ্যমে অসহায় জনগনের কোটি কোটি টাকা আতœসাতের জন্য ওই সাইনবোর্ড/লোক এবং শুরুতে কিছু কার্ডধারীদের মাঝে চাল দিয়েছে। আরো অবাক কর বিষয় হচ্ছে-যা কিছু/সামান্য চাল দেয়া হয়েছে তার অধিকাংশ বিভিন্ন আড়ত/ব্যাবসায়ীর থেকে নগদ টাকার স্থলে চেক দিয়ে/বাকিতে সংগ্রহ করেছে এবং অনেকের থেকে টাকা নিলেও কার্ড দেয়া হয়নি। এমতাবস্থায় সদস্যদের প্রতিনিধি/কেন্দ্র প্রধান নারী/পুরুষ প্রতিদিন ওই চেয়ারম্যানের বাড়িতে ঘুরছেন। সদস্য প্রতিনিধি/কেন্দ্র প্রধান রেশমা, আমেনা বেগম, তোবারেক ফকির ও জেহাদ মোল্লা সহ অনেকে বলেন-তারা গরীব মানুষের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ওই চেয়ারম্যানকে দিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন, প্রথম দিকে কিছু লোকদের মাঝে চাল দিলেও বর্তমানে না দেয়ায় নিরুপায় সদস্যরা খুব বেশী চাপ সৃষ্টি করছে, তাই তারা ঘর/সংসার ও শিশু সন্তান ফেলে প্রতিদিন চাল/টাকা ফেরৎ পাবার আশায় ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি ঘুরে চলেছেন। এবিষয়ে ওই এনজিওর সভাপতি পরিচয়ধারী উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান খুর্শিদা বেগম বলেন-জুন ক্লোজিং’র কারনে টাকা তোলা সম্ভব হচ্ছেনা, তাই আগামি রবিবার টাকা তুলে ওই দিনই চাল দিব। এবিষয়ে মোল্লাহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম হাসান বলেন-তিনি বিষয়টি জানলেও লিখিত অভিযোগ না পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনিয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি, এখনো লিখিত অভিযোগ পেলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।