সান্তাহার পৌর শহরের জমে উঠেছে ঈদের মার্কেট

PIC-01.07.15আদমদীঘি প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর শহরের জমে উঠেছে ঈদ মার্কেট। সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঈদ বোনাস পেলে মার্কেটের আরোও ক্রেতার সরগরম হয়ে উঠবে বলে দোকান মালিকদের আশা। সকাল ৮টা থেকে রাত্রী ১১টা পযর্ন্ত চলে বেচা-কেনা। পরিবারের ছোট্ট সোনামনির এক ঝলক মিষ্টি হাঁসি দেখতে গৃহকর্তা স্ত্রী-সন্তান নিয়ে শহরের বিপণী বিতানে ভীড় জমাচ্ছে। কোনো কোনো ক্রোকারিজের দোকানে এখন ক্রোকারিজ সামগ্রীর পরিবর্তে রেডিমেট পাঞ্জাবি বিক্রি করা হচ্ছে। দোকানিরা বলছেন, এই ঈদে টিভি সিরিয়ালের অভিনয়কারীদের নামে বাহাড়ি শাড়ী, থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে। প্যান্ট পিস, কাটা কাপড়, ওড়না, বিভিন্ন তৈরি কাপড়ের লেস কিনতে ভিড় করছে তরুন-তরুনী ও গৃহবধুরা। সান্তাহার খান সুপার মার্কেটের ভাই ভাই ক্লথ ষ্টোরের মালিক শাহিন আলম জানায় এই ঈদে নতুন নতুন বাহারি নামে ও দামের শাড়ি এসেছে। ক্রেতাদের পছন্দের তালিকাতে সেগুলো স্থান করে নিয়েছে। চান্দিলা সিল্ক ও বারিশ কাথান সিল্ক, কাঠিয়াল সিল্ক, খোকসা সিল্ক ৫ হাজার থেকে শুরু করে ২০ হাজার টাকা পযর্ন্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন মার্কেটের দোকান ও বিপনি বিতানে গৃহবধু ও তরুনীদের বেশি ভিড় করতে দেখা গেছে থ্রি পিস কিনতে। সোনার বাংলা মাকের্টের মালেকা গামেন্টস এর মালিক মুক্তার হোসেন জানায়, এ বছরের ঈদ কালেকশনে নতুন নতুন থ্রি পিস এসেছে। রিভা থ্রি পিস, গঙ্গা থ্রি পিস, সুতি কাশ্মিরি থ্রি পিস, দিল্লি বুটিকস থ্রি পিস। ১ হাজার থেকে ৮ হাজার টাকা পযর্ন্ত বিক্রি করা হচ্ছে। একই মার্কেটের জিকো ফ্যাশন হাউজের ফারুক হোসেন জানায়, এবার তরুনীদের পছন্দে রয়েছে কিরন মালা গোল থ্রি পিস, লং থ্রি পিস, পাকিস্তানী থ্রি পিস। এগুলো দাম ২ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকার টাকার মধ্যেই। তিনি আরোও বলেন রমজানে মাঝামাঝি সময় হলেও এখন তার কাপড়ের দোকানে ক্রেতা সমাগম বাড়ছে। বেচা-কেনা মোটামুটি ভােেলা হচ্ছে। লোন থ্রি পিস, লোন ওয়ান থ্রি পিস, লিলিয়ন থ্রি পিস বেশি পছন্দ ক্রেতাদের। শহরের টেইলার্সগুলো ইতিমধ্যে অর্ডার নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে প্যান্ট-পিচ, শার্ট-পিচ বিক্রয় কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। সু-সময় যাচ্ছে গার্মেন্টস ব্যবসায়ীদের। তারা ক্রেতার পছন্দ মত শার্ট, টি-শার্ট, জিন্স প্যান্ট, পাঞ্জাবী, টু-পিচ, থ্রি-পিচ বিক্রয়ের চেষ্টা করছেন। ক্রেতাদের অভিযোগ দোকানীরা পণ্যের মূল্য দুই/তিন গুন বেশী হাকিয়ে পরে কমিয়ে নিচ্ছে। আর বিক্রেতারা বলছেন গত বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশী মূল্যে মোকাম থেকে পোষাক সংগ্রহ করতে হয়েছে। তাছাড়া পরিবহন খরচ, কর্মচারীর বেতন-ভাতা, দোকান ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি পাওয়ায় গত বছরের তুলনায় এ বছর একটু বেশী লাভ করতে হচ্ছে। বিগত বছরের তুলনায় এবার পোষাকের মূল্য বেশী হওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারের নাভিশ্বাস উঠেছে। এদের মধ্যে দিন মজুর ও শ্রমিকেরা পড়েছে আরো বিপদে। এদের অনেকই নিজেদের সীমিত আয় দ্বারা কোন মতে দুই সন্তানের জামা-প্যান্ট কিনেছেন। এখনও জুতা কেনা বাকি রয়েছে। তারপর ভাগ্যে থাকলে নিজেদের হবে নতুবা হবেনা। ঈদের আগে সেমাই, চিনি, গোশত ও আতব চাল কিনতে হয়তো ঋণ করতে হবে। অনেকে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ঈদ উৎসবে মাতোয়ারা হবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *