লোহাগড়ায় আনন্দ স্কুল(রস্ক)’র উপবৃত্তির ৮০ টাকা তুলতে ১’শ টাকা খরচ শিক্ষার্থীদের
উজ্জল মাহমুদ,লোহাগড়া(নড়াইল) : নড়াইলের লোহাগড়ায় আনন্দ স্কুলের সুবিধাভোগী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ৮০ টাকা তুলতে শিক্ষার্থীদের খরচ হচ্ছে ১’শ টাকা। লক্ষীপাশা সোনালী ব্যাংক প্রত্যেক ইউনিয়নে বুথ করে এ উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও লোকবল সংকটের দোহাই দিয়ে শিশুদের উপজেলা সদরে আসতে বাধ্য করছেন। ফলে গরীব ও অসহায় শিশুরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে নসিমন-করিমন ভাড়া করে উপজেলা সদরের লক্ষীপাশা সোনালী ব্যাংকে এসে ওই টাকা নিচ্ছেন। এতে শিশুদের আসা যাওয়ার সময় সড়ক দূর্ঘটনায় পড়ার আশংকা করছেন অভিভাবকরা। রবিবারও ৩’শ ৬৮ জন শিশু বৃষ্টিতে ভিজে উপবৃত্তির টাকা নেন।
জানা গেছে,লোহাগড়ায় আনন্দ স্কুলের প্রায় ৭’শ ২০ জন শিশু উপবৃত্তির আওতায় আছেন। প্রতি মাসে প্রত্যেক শিশুকে ৮০ টাকা করে ৬ মাস পর পর ৪’শ ৮০ টাকা করে দেওয়া হয়। গত ৬ মাসের উপবৃত্তির ৪’শ ৮০ টাকা নিতে গতকাল সোমবারও শিশুরা বৃষ্টিতে ভিজে ব্যাংকের বাইরে ও ভেতরে অপেক্ষা করে। শিশুদের সাথে আসা কুমারডাঙ্গা গ্রামের অভিভাবক মাকছুদা বেগম ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রকাশ করে বলেন, “ব্যাংকের লোকেরা যদি প্রত্যেক ইউনিয়নে গিয়ে টাকা দেয় তাহলে আমাদের ৩০ থেকে ৩৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এখানে আসতে হত না। তাছাড়া ৪৮০ টাকা তুলতে পরিবহন খরচই চলে যাচ্ছে প্রায় ২’শত টাকা”। লাহুড়িয়া গোবিন্দপাড়া শিক্ষার্থী আকলিমা বলেন, সকালে কিছু খাই নি, স্যার আমাগে নিআইছে।
এ ব্যাপারে আনন্দ স্কুলের সমন্ময়কারী শাহ্জালাল বলেন,“ব্যাংকের সাথে আমাদের চুক্তি আছে। ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাংকের কর্মকর্তারা গিয়ে শিশুদের উপবৃত্তির টাকা দেবেন। অথচ, তাঁরা শিশুদের ব্যাংকে এসে টাকা নিতে বাধ্য করছেন।
এ বিষয়ে সোনালী ব্যাংক লক্ষীপাশা শাখার ব্যবস্থাপক কৃষ্ণপদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাদের ব্যাংকে লোকবল কম বিধায় ইউনিয়নে গিয়ে টাকা দিতে পারছি না। তবে, আগামী কিস্তির টাকা ইউনয়নে গিয়ে দেওয়া হবে।