উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে মংলা পৌরসভা

মনির হোসেন,মংলা(বাগেরহাট): ১৯৭৫ সালে ১৯ দশমিক ৪৩ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ে গঠিত হয় মংলা পোর্ট পৌরসভা। সময় পার হয়েছে কিন্তু ভাগ্য পরিবর্তন হয় নি এ পৌরসভার। এমন কী এ পৌরসভা বিলুপ্ত করারও সিদ্ধান্ত হয় । তবে এটা অতীত। দুর্নীতির কালিমা দূর করে ঘুড়ে দাঁড়িয়েছে মংলা পোর্ট পৌর সভা। এখন দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর হিসেবে গড়ে তুল চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। পৌরসভাকে ডিজিটালাইজডের আওতায় আনতে প্রতিটি ওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলছে সার্ভে কাজ। সাথে চলছে অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজ।
মংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র জুলফিকার আলী বলেন, ডিজিটাল মংলা শহর গড়ার লক্ষে কাজ করছে মংলা পৌরসভা। এ লক্ষে এরই মধ্যে শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বসানো হয়েছে সাউন্ড সিস্টেম (প্রচার মাইক)। শুরু হয়েছে মংলা শহরকে ফ্রি নেট (ওয়াইফাই) জোনের আওতায় আনার কার্যক্রম। এরই ধারাবাহিকতায় এবার শহরের গুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে লাগানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা।
মেয়রের দাবির মাধ্যমে- যৌন হয়রানি বা ছোটখাট অনেক অপরাধীরা এখন সতর্ক হবে। প্রতিরোধ করা যাবে নানা অপরাধ। আর অপরাধ বা অপরাধীদেরও সনাক্ত করা যাবে সহজে।
এ ব্যাপারে মংলা পোর্ট পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইউনুস বলেন- সিসি ক্যামেরা মনিটরিং করার জন্য পৌরসভার ভেতরে একটি সেল রয়েছে। ক্যামেরায় বিপদ-আপদ ধরা পড়লেই মাইকের মাধ্যমে পৌরবাসীকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে।এজন্য নির্ধারিত লোক নিয়োগ আছেন। পৌরসভার প্রতিটি মোড়ে এধরনের ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলী আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন- মংলা পোর্ট পৌরসভা হবে দেশের প্রথম ডিজিটাল শহর। এ লক্ষে সার্বিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। পৌরসভাকে ডিজিটালাইজডের আওতায় আনতে প্রতিটি ওয়ার্ড ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলছে সার্ভে কাজ। এছাড়া উন্নত বিশ্বের আদলে শিশু পার্ক, স্টেডিয়াম, রাস্তাঘাট করার কাজ চলছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে এর সুফল ভোগ করা শুরু করবে শহরবাসী।
এ ব্যাপারে মংলা বণিক সমিতির সভাপতি হাবিব মাস্টার বলেন- মংলা পৌর সভা এখন পঞ্চাশ বছর সামনে চলে এসেছে। বিভাগীয় শহরের ন্যায় জমি-জমার দাম বেড়েছে।
তিনি আরো জানান- যারা এ শহর থেকে ব্যবসা বাণিজ্য গুটিয়ে একসময়ে চলে গিয়ে ছিলো তারা আবার ফিরে আসছে।
মংলা পৌরসভার ইউবিএ (উচ্চমান সহকারী) মো. শহিদুল ইসলাম আক্ষেপ করে জানান- এক সময় নিয়মিত বেতন জুটতো না এ পৌরসভার কর্মচারীদের । ৬ বছর আগে প্রত্রিকার পাতায় এ পৌরসভা বিলুপ্তিরও ঘোষণা আসে। অথচ আজ পৌরসভায় উন্নয়নের জোয়ার চলছে। নিয়মিত বেতন ভাত পাচ্ছি।
তিনি মেয়র জুলিকার আলীর প্রশংসা করতে গিয়ে বলেন- মেয়র হিসেবে পাওয়া সন্মানি ভাতা টুকুও তিনি ভোগ করেন না । কল্যান তহবিলে দান করেন। এটা দৃষ্টান্ত ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *