ওরা বাপ দাদার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় ছুটছে আদমদীঘিতে বাঁশ শিল্প বিলুপ্তীর পথে

PIC-26.06.15সাগর খান, আদমদীঘি প্রতিনিধি : বগুড়ার আদমদীঘিতে বাঁশ শিল্প এখন বিলুপ্তীর পথে গ্রামগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের তৈরী আসবাবপত্র। অভাবের তারনায় ওরা দীর্ঘদিনের বাপ দাদার পেশা ছেড়ে আজ অনেকে অন্য পেশায় ছুটছে। কিছু হাতে গোনা কয়েকজন বাঁশ শিল্প কারীগররা অভাব অনটনের মাঝে আজও বাপ দাদার পেশা ধরে আছে তবে কতোদিন থাকতে পারবে তা কেই জানেনা। পুরুষদের পাশাপাশি সংসারের কাজ শেষ করে নারী কারিগররাও জীবিকা নির্বাহের জন্য ছেলে মেয়েদের নিয়ে শান্তিতে থাকতে অতি কষ্টে কাজ করছেন। বর্তমান বাজারে প¬¬াষ্টিক পূণ্য ও আন্যান্য দ্রব্য মুলের সাথে পাল¬া দিতে না পারায় তাদের বাপ দাদার পেশায় মুখ থুবরে পড়েছে। বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব বাঁশ শিল্প তার সাথে আদমদীঘি উপজেলা সান্দিড়া গ্রামে ৪০টি পরিবারের নারী ও পুরুষ বাঁশ শিল্প কারিগরদের ভাগ্যে নেমে এসছে চরম দূদিন। তাদের পূর্ব পুরুষের এ পেশা আকড়ে ধরে রাখার আপ্রান চেষ্টা করে ও হিমছিম খাচ্ছে। উপজেলাসহ দেশের ঘরে ঘরে ছিল বাঁশের তৈরী সামগ্রীর কদর। কালের পরিবর্তের সাথে সাথে বিশেষ আর চোখে পড়েনা । অপ্রতুল ব্যবহার আর বাঁশের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বাঁশ শিল্প আজ হুমকির মুখে। এসব বাঁশের তৈরী সামগ্রী বাচ্চাদের দোলনা, তালায়, র‌্যাখ, পাখা, ঝাড়–, টোপা, ডালী,সহ বিভিন্ন প্রকার আসবাবপত্র গ্রামঞ্চলে বিস্তার ছিল। যে বাঁশ ২০ থেকে ৩০ টাকায় পাওয়া যেত সেই বাঁশ বর্তমান বাজারে কিনতে হচ্ছে দুইশত থেকে আড়াইশ টাকা সেই পরিমান বাড়েনি এসব পূণ্যের দাম। জনসংখ্যা বৃদ্ধি সহ ঘর বাড়ী নির্মানে যে পরিমান বাঁশের প্রয়োজন সে পরিমান বাঁশের ঝাড় বৃদ্ধি হচ্ছে না। সান্দিড়া গ্রামের কারিগর রইদাস ও অপেন দাস জানায় মহল্ল¬ায় ৪০ টি পরিবার এ কাজে নিয়োজিত আছি। অতি কষ্টে বাঁশ শিল্প টিকে রাখতে ধার দেনা ও বিভিন্ন সমিতি থেকে বেশি লাভ দিয়ে টাকা নিয়ে কোন রকম বাপ দাদার পেশা আকড়ে ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি। সরকারী ভাবে অল্প লাভে যদি ঋণ দেওয়া হয় তাহলে বাঁশ শিল্পের কারীগররা স্বাবলম্বী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *