“চিংড়ী শিল্প ধ্বংসের মূখে”

Untitled-2শেখ রবিউল ইসলাম (দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রতিনিধি): বাংলাদেশের সোনা নামে খ্যাত ছিল পাট, আজ সেই খ্যাতিটাকে ছিনিয়ে নিয়ে ছিল বাগদা চিংড়ী। যার বিনিময়ে বৈদেশিক অর্থ আসতো আমাদের দেশে। আজ সেই চিংড়ীকে এক শ্রেণীর অর্থলোভী ব্যবসায়ীগন কুলশিত করে চলেছে। সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায়, খুলনা বিভাগের সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, পারুলিয়া, বুধহাটা, আশাশুনি উপজেলা, খুলনা জেলার কয়রা, পাইকগাছা, দাকোপ উপজেলার মৎস্য ডিপুতে রাসায়নিক দ্রবাদী ও খাওয়ার অনুপযোগী জেলী, আটা বাগদা চিংড়ীতে পুস করে বাজারজাত করে চলেছে ৮৫ ভাগ ডিপো মালিকগন। পাশাপাশি এক শ্রেণীর লীজ ঘের মালিকগনও এই অসাধু উপায় অবলম্বন করে বাগদা চিংড়ী বাজারজাত করছেন। এদের কারনেই আর্ন্তজাতিক বাজারে এই বাগদা চিংড়ীর মূল্য ও মান কমে এসছে। যার কারনে সরকার কোটি কোটি টাক রাজস্ব ও বৈদেশিক মুদ্রা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এরা দেশের শত্রু, সমাজের শত্রু, এদের পতিহত করার জন্য স্থানীয় মৎস্য অফিসার, সেনেটারী অফিসার ও প্রশাসন দায়ী বলে মনে করা যায়। অনুসন্ধান করতে যেয়ে সরজমিনে চিত্র ও তথ্য জানা যায় যে, সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, পারুলিয়া, আশাশুনি এলাকার ডিপু গুলিতে রাসায়নিক দ্রবাদি পুস করে বিভিন্ন মাছের বাজার ও ডিপুতে বিক্রয় করে। উক্ত ডিপু মালিকগনদের সাথে আলাপ কালে জানা যায়, কম্পানি যদি শক্ত হাতে এই পুসকৃত মাছ ক্রয় করা থেকে বিরত থাকত তাহলে ডিপু মালিকগন সজাগ হতো। বর্তমানে আশাশুনি উপজেলার মশিয়াডাঙ্গা মৎস্য বাজারে প্রকাশ্যে এই সকল পুসকৃত মাছ বিক্রয় করা হয়ে থাকে। স্থানীয় উপজেলা চেয়ারম্যান জনাব, মোস্তাকিম সাহেবের সাথে এই বিষয় সম্পর্কে আলাপ কালে জানা যায় যে, এদের বিরুদ্ধে বহুবার ব্যবস্থা নিয়েছি কিন্তু কোন কিছুতে কাজ হয়নি। সরকার যদি ষ্পেসাল ভাবে টিম পাঠান এবং দোসি ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে তাহলেই এই ততপরতা থেকে চিংড়ী শিল্প মুক্তি পাবে। অপর দিকে খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা ও পাইকগাছা উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় এই অবৈধ তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। দেলুটি ইউনিয়নের বাপ্পি ফিস্, সোলাদানা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাছের ডিপো, লস্কর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাছের ডিপো, লতা ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাছের ডিপো, রাড়–লী ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি মাছের ডিপো। উল্লেখ্য যে, উল্লেখিত এলাকার মাছের ডিপোগুলি পরিদর্শন করলে বুঝা যাবে যে কতটা নিম্নমানের এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাছ ক্রয় করছে। অধিকাংশ ডিপো গুলির পিছনে মহিলা ও ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের দিয়ে বাগদা চিংড়ী ও গলদা চিংড়ীতে রাসায়নিক দ্রবাদী ও আটা, সাবু এবং নোংড়া পানি পুস করতে দেখা যায়। এদের বিরুদ্ধে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা ব্যাঞ্চনীয়। এই সকল অবৈধ কর্মকান্ডের সহযোগীতা করছে এক শ্রেণীর সরকারী কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতা বিশেষ ব্যক্তিবর্গ। বর্তমানে দেখা যায় যে, প্রতিটা মাছ আহরনকারী ব্যক্তিগন মাছগুলি ড্রাম, বালতি ও ককসেট বক্সে পানিতে ডুবায়ে বাজারে বিক্রয় করে থাকে। এদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য এলাকাবাসী দাবী করেন। (চলবে)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *