ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন করতে বাধ্য হচ্ছেন প্রায় শতাধিক বিকাশ এজেন্ট

লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি : নড়াইল জেলার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর হাউস মেসার্স মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান(প্রাঃ লিমিটেড) এর বেশ কিছু অনিয়মের কারণে লোহাগড়া উপজেলায় বিকাশ লিমিটেডের প্রায় শতাধিক এজেন্ট ঝুঁকিপূর্ণ লেনদেন করতে বাধ্য হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানাযায় লোহাগড়া উপজেলাতে শতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী অন্যান্য ব্যবসার পাশাপাশি মোবাইলের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর সহজ উপায় বিকাশ এর এজেন্ট পরিচালনা করে আসছে। প্রতি হাজার টাকা ক্যাশইন/ক্যাশআউট হলে এজেন্ট কমিশন পায় প্রায় ৪টাকা ২০পয়সা। মোবাইলের মাধ্যমে বিকাশ করে টাকা পাঠানোর এই ব্যবসায় সুবিধা এবং অসুবিধা সম্পর্কে কয়েকজন এজেন্টের সাথে কথা বললে ব্যবসায়ীরা জানান, ব্যবসা বর্তমানে যদিও ভালো তবে ডিলার এর কিছু অনিয়মের কারণে আমরা খুব ঝুঁকিতে ব্যবসা করছি। কারণ বিকাশ কোম্পানির টেরিটরি ম্যানেজার বরুন কুমার আমাদের স্পষ্ট বলে দিয়েছেন, যখন বিটুবি করবেন অর্থাৎ মোবাইল থেকে ব্যালান্স ট্রান্সফার করে ডিলার এর কাছ থেকে নগদ টাকা নেয়ার প্রয়োজন হবে ঐ দিন সকালে ডিলারকে আমার প্রয়োজনীয় টাকার পরিমান জানাবেন। ডিলার কর্তৃক নিয়োজিত বিএসএ দোকানে আসার পরই বিটুবি করে টাকার লেনদেন করবেন। কিন্তু ডিলার আমাদেরকে দোকানে এসে টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বলেন, যদি আমার সাথে ব্যবসা করতে হয় তাহলে আমাকে আগে অর্থাৎ সকালে মোবাইলের টাকা বিটুবি করে দিতে হবে, পরে ঐ বিটুবির টাকা বিকাশ কোম্পানি থেকে ক্যাশ করে দুপুরের পর ব্যাংক একাউন্ট এ দিয়ে দিব। এজেন্টরা আরো জানান, এই সামান্য কমিশনের ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য প্রত্যেক এজেন্টকে ব্যাংক একাউন্ট খুলতে বাধ্য করছে ঐ ডিলার এবং ব্যাংক একাউন্ট চালাতে আমাদেরকে প্রতি ৬মাস অন্তর ব্যাংকে অতিরিক্ত টাকা গুনতে হচ্ছে। দোকান বন্ধ করে ব্যাংকে গিয়ে লাইনে দাড়িয়ে প্রতিদিন টাকা আনতে দোকান বন্ধ রাখতে হয় এক থেকে দেড় ঘন্টা। এ বিষয়ে বিকাশ কোম্পানির উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট ফোনে জানাতে চাইলে বিএসএ বাদশা এজেন্টদের শ্বাসিয়ে বলেন, যদি ফোন করা করি করেন তাহালে ভালো হবে না, ডিলারের কোন সুযোগ সুবিধা আপনারা পাবেন না।
নড়াইল জেলার বিকাশ ডিস্ট্রিবিউটর হাউস মেসার্স মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান(প্রাঃ লিমিটেড)এর প্রতিনিধি শান্টুর নিকট এ ব্যাপারে ফোনে জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন,“আমি কোন প্রশ্নের উত্তর দেবনা, ভালো না লাগলে এজেন্টদের ব্যবসা করার দরকার নেই।
টেরিটরি ম্যানেজার বরুন কুমার বলেন, “কর্তৃপক্ষের অনুমোতি ছাড়া কোন সাংবাদিকদের সাথে কথা বলা নিষেধ”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *