লোহাগড়ায় ৫ম শ্রেণির ছাত্রীর ওপর যৌন নিপীড়ন অভিযুক্ত শিক্ষক বহাল তবিয়তে
লোহাগড়া(নড়াইল)নড়াইল প্রতিনিধি : ঘটনার ২০ দিন পরও নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পি-চর সুচাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর ওপর যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক সামির সরদার বহাল তবিয়তে স্ব-পদে বহাল। এ ঘটনার পর ওই ছাত্রীর অভিভাবক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট অভিযোগ করার পর গত ১ জুন সোমবার দুপুরে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত জরুরী সভায় অভিযুক্ত ওই লম্পট শিক্ষককে অন্যত্র বদলীর সুপারিশ করা হয়। গত ২ জুন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ ওই শিক্ষককে অন্যত্র বদলীর সুপারিশ সংক্রান্ত রেজুলেশনের কপি উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দিলেও এখন পর্যন্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয় নি। বরং উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো:লুৎফর রহমান ওই শিক্ষককে বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ওই ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউপি’র ৮৭ পি-চর সুচাইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক মোঃ সামির সরদার দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের শ্রেণি কক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়িয়ে আসছেন। মোঃ সামির সরদার গত শনিবার (৩০ মে) সকালে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট পড়ানো শেষে ৫ম শ্রেণির একজন শিক্ষার্থীকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন। শিক্ষকের কথা মতো অপেক্ষার এক পর্যায়ে সুযোগ বুঝে ওই শিক্ষার্থীর ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটান লম্পট শিক্ষক সামির সরদার। যৌন নিপীড়নের ঘটনাটি বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও দেখে ফেলে। নিপীড়নের শিকার ছাত্রী টিফিনের সময় বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবকদের ঘটনাটি জানায়। এরপর ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবক সোয়েবুর রহমান এলাকাবাসীদের সাথে নিয়ে দ্রুত বিদ্যালয়ে এসে প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামানের কাছে লম্পট শিক্ষকের বিচারের দাবি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।
প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষককে অন্যত্র বদলীর সুপারিশ সংক্রান্ত কমিটির রেজুলেশন উপজেলাশিক্ষা অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ না থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছেনা।