উদ্বোধনের আগেই ফাটল শার্শা হাসাপাতাল ভবনে-
শার্শা উপজেলা প্রতিনিধি: যশোরের এক টেন্ডারকারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে নিন্মমানের ইট খউ রড ও বালু ব্যাবহার করে ভবন নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। উদ্বোধনের আগেই ফাটল ধরেছে প্রায় ৮কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারন বুরুজবাগান ৫০ শর্য্যা হাসপাতালের নব নির্মিত ভবনে। হাসপাতাল ভবনের চারি পাশে ২থেকে তিন ইঞ্চি পর্যন্ত ফাটল ধরেছে। যে কোন মুহুর্তে হেলে পড়তে পারে ঝুকি পূর্ন ভবনটি। ঘটতে পারে সাভার ট্রাজেডি। উদ্ভোধনের আগেই ভবনের চারিপাশে ফাটলের বিষয়টিকে ভবন নির্মানে বড় ধরনের ঘাপলা বলে জানান স্থানীয়রা। যশোরের শার্শা উপজেলার ৫লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার জন্য একটি মাত্র সরকারি হাসাপাতাল নাভারন বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কেন্দ্র। চিকিৎসা সেবার মান বাড়াতে সরকার ৫০শর্য্যা হাসপাতালে রুপান্তর করে নাভারন বুরুজবাগান স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে। বিভিন্ন বিভাগ বাড়াতে প্রায় ৮কোটি টাকা ব্যায়ে অতিরিক্ত নব নির্মিত ভবন নির্মান করা হয়। কাজ শেখ হয়েছে এক মাস আগে। উদ্ভোধন হয়নি এখনও । এর মধ্যেই দেখা দিযেছে ভবনের নিটের অংশের চারিপাশে ফাটল। ঝুঁকিপূর্ন হয়ে পড়েছে ভবনটি। এবিষয়ে শার্শা উপজেলা প্রকোশলীকে প্রধান করে ঘটনাটি তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা নির্বাহি অফিসার এটিএম শরিফুল আলম। তিনি বলেন,নব নির্মিত ভবনটি পরিদর্শন করা হয়েছে। ঘনঘন ভ’মিকম্প দেখা দিচ্ছে-দূর্বল ভবন যেকোন মূহুর্তে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। আর যেখানে হাসপাতাল একটি গুরুত্বপূর্ন বিষয় সব সময় যেখানে শত শত অসুস্থ্য নারী শিশু বৃদ্ধ অবস্থান করেন। এধরনের ভবনে ফাটলের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হবে বলে জানান তিনি। উপজেলা চেয়ারম্যান সিরাজুল হক মজ্ঞু বলেন-ফাটলের বিষয়টি পর্যাবেক্ষন করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। টেন্ডারকারী প্রতিষ্টানকে বিষয়টি অবগত করা হবে। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নাসির উদ্দিন বলেন-ভবনের গোড়ার মাটি সরে ফাটল দেখো দিয়েছে। প্রকোশলীরা ফাটলের বিষয়টি জানাতে পারবে বলে জানান তিনি। নাভারনের তুহিন ফারাজি ও সেলিম রেজা বলেন-নব নির্মিত ভবনের চারিপাশে ফাটল ধরেছে। ঝুকি পূর্ন হয়ে পড়েছে ভবনটি। যে কোন মুহুর্তে ঘটতে পারে দূর্ঘূটনা। ভবন নির্মানে টেন্ডারকারী প্রতিষ্টানের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহনের জোর দাবী জানান শার্শার সচেতন নাগরিকেরা। হাসপাতাল কর্র্তৃপক্ষ টেন্ডারকারী প্রতিষ্টানের নাম ঠিকানা জানাতে না পারলেও স্থানীয়রা জানান যশোরের এক প্রভাবশালী ঠিকাদারী প্রতিষ্টান নিন্মমানের কাজ করেছে। ফলে ভবনটি ঝুকি পূর্ন হয়ে উঠেছে।