আদমদীঘিতে নির্মানের নয় বছরে সংস্কার করা হয়নি নয় কিলোমিটার রাস্তা
সাগর খান,আদমদীঘি প্রতিনিধি: নির্মানের নয় বছরেরও বগুড়ার আদমদীঘি রেল ষ্টেশন ভায়া কদমা হাট হয়ে সান্তাহার সাইলো সড়কের সংস্কার করা হয়নি। ২০০৬ সালে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তাটি নির্মান করে। কোন প্রকার সংস্কার না হওয়ায় রাস্তাটির অনেক জায়গায় গর্ত সৃষ্টি হয়ে যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ন এই রাস্তা দিয়ে প্রায় ২০ টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ আদমদীঘি উপজেলা সদর এবং সান্তাহার জংশন ষ্টেশন শহরে যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া সূত্রে জানা গেছে, এলাকাবাসির দীর্ঘ দিনের দাবীর প্রেক্ষিতে ২০০৬ সালে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগ রাস্তাটি নির্মানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরেই আদমদীঘি রেলওয়ে ষ্টেশন থেকে কদমা হাট হয়ে সান্তাহার সাইলো সড়ক পর্যন্ত প্রায় নয় কিলোমিটার রাস্তা নির্মান করা হয়। নির্মানের নয় বছর পেরিয়ে গেছে উঠে গেছে রাস্তার পলেষ্টার। রাস্তার অসংখ্য জায়গাই খোয়া পাথর উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অনেক গর্ত। রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন প্রতিদিন চরম ঝুঁিক নিয়ে চলাচল করছে। রাস্তা পাশের দমদমা গ্রামের বাসিন্দা মুক্তার মল্লিক বলেন, এই উপজেলায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের যে একটি রাস্তা রয়েছে তা হয়ত সংষ্টি কর্তৃপক্ষ ভুলে গেছে। তা না হলে নয় বছরে একবারও রাস্তাটির সংস্কার কাজ হয় না কেন ? ওই সড়কে চলাচলকারী ইজিবাইক চালক ফরিদ বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ার কারনে সব ধরনের যান এক ঘন্টার রাস্তা দুই ঘন্টায় চলাচল করে। সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলাম মন্টু বলেন, এই রাস্তা দিয়ে তারঁ ইউনিয়নের দমদমা, কাশিমিলা, প্রসাদখালি, বামনীগ্রাম এবং আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের কদমা, করজবাড়ি, গনিপুর, রামপুরা, ময়ূর কাশিমালা, জোড়পুকুরিয়া, মন্ডবপুরা গ্রাম সহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচল করে। তিনি বলেন, রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়াই যানবাহন স্বাভাবিক ভাবে চলতে পারছে না এতে করে যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, তার ইউনয়নের রক্তদহ বিল পাড়ের কয়েকটি গ্রামের মানুষ তাদের উৎপাদিত ধান সহ বিভিন্ন ফসল এই রাস্তা দিয়ে উপজেলা সদরে নিয়ে আসেন। কিন্তু দীর্ঘ দিন থেকে রাস্তাটি খারাপ হয়ে পড়ায় কৃষকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তিনি বলেন, উপজেলা সদরে সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন দপ্তর না থাকায় রাস্তার অবস্থার কথা জানানো সম্ভব হয় না। রাস্তার বিষয় নিয়ে বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি রাস্তার খারাপ অবস্থার কথা স্বীকার বলেন, চাহিদার তুলনায় বরাদ্দ কম থাকায় ইচ্ছা থাকা সর্ত্তেও আমরা সকল রাস্তার কাজ করতে পারিনা। তিনি বলেন, গত দুদিন আগে আমি নিজে ওই রাস্তা পরিদর্শন করেছি এবং রাস্তাটি দেখে সেটি নষ্ট হওয়ার বিষয় নিশ্চিত হতে পেরেছি। এ কারনে রাস্তা মেরামতের জন্য সামান্য টাকা বরাদ্দ করেছি, যা দিয়ে সবচেয়ে বেশি খারাপ অংশের সংস্কার করা হবে।