উপকূলীয় ঝুঁকি অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪২৭১ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ ধ্বংস হয়ে যাবে।
বি, এম, রাকিব হাসান : গবেষনায় আরও বলা হয়, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়ার কারণে উপকূলজুড়ে যে বাধ রয়েছে তা এখনই প্রচন্ড ঝুকির মধ্যে। এই ঝুঁকি অব্যাহত থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ৪২৭১ কিলোমিটার উপকূলীয় বাঁধ ধ্বংস হয়ে যাবে। ২০৫০ সালের মধ্যে এই ঝুঁকি আরও ধ্বংসাত্মক হয়ে ১৩,৯৯৫ কিলোমিটারে পৌছাবে। আরও বলা হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে সৃষ্ট ভবিষ্যত দুর্যোগে এই বাধ তাসের ঘরের মতই গুড়িয়ে যেতে পারে। ঘুর্ণিঝড় আইলায় তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যায়। আর এই আশঙ্কা যদি সত্যে পরিণত হয় তাহলে সমুদ্রঘনিষ্ঠ ৭২০ কিলোমিটারব্যাপী কোস্ট লাইন বরাবর জালের মত বিস্তৃত উপকূলীয় বাঁধসহ দেশের বন্যাপ্রবন এলাকার বৃহৎ নদী অববাহিকার বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধসমূহের সিংহভাগই তছনছ হয়ে যাবে বলে আশংকা প্রকাশ হচ্ছে। সার্বিক অবস্থায় বলা যায়, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবে বঙ্গোপসাগরের উচ্চতা বৃদ্ধির সম্ভাব্য পরিণতিতে দারুন বিপদাপন্ন অবস্থায় রয়েছে উপকূলের চিরচেনা হাজার বছরের কৃষি, পরিবেশ-প্রতিবেশ, পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্য, অবকাঠামো এবং জীবন-জীবিকাসহ ৩ কোটি মানুষের টিকে থাকার অবলম্বন।
জলবায়ু পরিবর্তনের এই আঘাত আপাতদৃষ্টিতে নিরব মনে হলেও তা’ ক্রমেই বিধ্বংসীরূপে অবির্ভূত হতে শুরু করেছে। সুতরাং ব্যাপকভিত্তিক সমন্বিত পরিকল্পনা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ অভিযোজন কৌশলের মাধ্যমে টিকে থাকার প্রচেষ্টাই প্রধান দাওয়াই বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ মহল।