যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর পিঠে লোহার রডের ছ্যাকার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের
নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পোরশা উপজেলায় নির্যাতিতা গৃহবধুর নির্যাতনের বিষয়ে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পোরশা থানায় একটি নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে বিভিন্ন পত্রিকায় নির্যাতনের খবর প্রকাশ হলে মামলা দায়েরের পূর্বেই পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতনকারী স্বামী কোবেল অরফে কুবেত এর বাড়ী পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর নিকট থেকে প্রাথমিক তথ্য উদ্ধার করেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে পতœীতলা সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইয়াছিন আলী সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের এসে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধু শাপলা খাতুনকে দেখে এ বিষয়ে মামলা দায়েরের কথা বললে তিনি মামলা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে বাদি করে গৃহবধু শাপলার স্বামী, শশুর, শাশুড়ী কে আসামী করে পোরশা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার পোরশা থানার এসআই মাহবুব আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নির্যাতনের শিকার গৃহবধু শাপলা বাদি হয়ে তার স্বামী, শশুর ও শাশুড়ীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এখন সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্থানীয় সাংবাদিকগণ সরেজমিনে দুয়ারপাল গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসী ও শাপলার স্বামী কুবেত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, তার স্ত্রী শাপলার পূর্বের পেমিকের সাথে সম্পর্ক থাকায় সে বিয়ের পর হতেই স্বামীকে মেনে না নিয়ে স্বামীর সাথে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঝগড়া ঝাটিতে লিপ্ত হতে থাকে। ঘটনার দিন রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পুনরায় তাদের দাম্পত্ত বিষয় নিয়ে মন মালিন্যের এক পর্যায়ে দু’জন দুই জায়গায় ঘুমিয়ে পড়লে সকালে কুবেত ঘুম ভেঙ্গে দেখে তার স্ত্রী ঘরে নেই। খোজা খুজির একপর্যায়ে জানতে পারে যে সে ভোরে পার্শ্ববর্তী বেলডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে তার এক আতœীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। স্বামী কুবেত তার স্ত্রীকে গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথা মামলা সাজানোর জন্য সে নিজেই এ ঘটনা সাজিয়েছে। উল্লেখ্য, সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট গ্রামের একরামুল হকের কন্যা শাপলা খাতুনের সাথে দেড় মাস পূুর্বে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের কাইয়ুমের এক মাত্র পুত্র কোবেল অরফে কুবেত এর বিয়ে সম্পন্ন হয়। সাংসারিক কলহের জেরে স্বামী কুবেত গত সোমবার দিবাগত রাতে স্ত্রী শাপলা খাতুনকে যৌতুকের দাবীতে নির্যতনের এক পর্যায়ে তার পিঠে গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাকা দিয়ে অমানুষিক নির্যতন চালায়। এর পর জীবন বাঁচানোর তাগিদে শাপলা ভোরে স্বামীর বাড়ী হতে পালিয়ে এসে আতœীয়ের বাড়ীতে আশ্রয় নেয় এবং পরে সেখান থেকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে সে নির্যাতনের চিহৃ নিয়ে অসহ্য যন্ত্রনায় হাসপাতাল বেডে কাতরাচ্ছে।
যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীর পিঠে লোহার রডের ছ্যাকার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের
নয়ন বাবু, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর পোরশা উপজেলায় নির্যাতিতা গৃহবধুর নির্যাতনের বিষয়ে গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় পোরশা থানায় একটি নারী নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে। তবে বিভিন্ন পত্রিকায় নির্যাতনের খবর প্রকাশ হলে মামলা দায়েরের পূর্বেই পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতনকারী স্বামী কোবেল অরফে কুবেত এর বাড়ী পরিদর্শন করে এলাকাবাসীর নিকট থেকে প্রাথমিক তথ্য উদ্ধার করেছে।
গতকাল বুধবার দুপুরে পতœীতলা সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ইয়াছিন আলী সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের এসে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার গৃহবধু শাপলা খাতুনকে দেখে এ বিষয়ে মামলা দায়েরের কথা বললে তিনি মামলা করতে ইচ্ছা প্রকাশ করায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাকে বাদি করে গৃহবধু শাপলার স্বামী, শশুর, শাশুড়ী কে আসামী করে পোরশা থানায় একটি মামলা দায়ের হয়। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী অফিসার পোরশা থানার এসআই মাহবুব আলমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, নির্যাতনের শিকার গৃহবধু শাপলা বাদি হয়ে তার স্বামী, শশুর ও শাশুড়ীকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ এখন সকল প্রকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। স্থানীয় সাংবাদিকগণ সরেজমিনে দুয়ারপাল গ্রামে গিয়ে এলাকাবাসী ও শাপলার স্বামী কুবেত আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে জানায়, তার স্ত্রী শাপলার পূর্বের পেমিকের সাথে সম্পর্ক থাকায় সে বিয়ের পর হতেই স্বামীকে মেনে না নিয়ে স্বামীর সাথে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ঝগড়া ঝাটিতে লিপ্ত হতে থাকে। ঘটনার দিন রাতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে পুনরায় তাদের দাম্পত্ত বিষয় নিয়ে মন মালিন্যের এক পর্যায়ে দু’জন দুই জায়গায় ঘুমিয়ে পড়লে সকালে কুবেত ঘুম ভেঙ্গে দেখে তার স্ত্রী ঘরে নেই। খোজা খুজির একপর্যায়ে জানতে পারে যে সে ভোরে পার্শ্ববর্তী বেলডাঙ্গা গ্রামে গিয়ে তার এক আতœীয়ের বাসায় আশ্রয় নেয়। স্বামী কুবেত তার স্ত্রীকে গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাকা দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথা মামলা সাজানোর জন্য সে নিজেই এ ঘটনা সাজিয়েছে। উল্লেখ্য, সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা বলদিয়াঘাট গ্রামের একরামুল হকের কন্যা শাপলা খাতুনের সাথে দেড় মাস পূুর্বে পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের কাইয়ুমের এক মাত্র পুত্র কোবেল অরফে কুবেত এর বিয়ে সম্পন্ন হয়। সাংসারিক কলহের জেরে স্বামী কুবেত গত সোমবার দিবাগত রাতে স্ত্রী শাপলা খাতুনকে যৌতুকের দাবীতে নির্যতনের এক পর্যায়ে তার পিঠে গরম লোহার রড দিয়ে ছ্যাকা দিয়ে অমানুষিক নির্যতন চালায়। এর পর জীবন বাঁচানোর তাগিদে শাপলা ভোরে স্বামীর বাড়ী হতে পালিয়ে এসে আতœীয়ের বাড়ীতে আশ্রয় নেয় এবং পরে সেখান থেকে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি হয়। বর্তমানে সে নির্যাতনের চিহৃ নিয়ে অসহ্য যন্ত্রনায় হাসপাতাল বেডে কাতরাচ্ছে।