মানব পাচারের আসামীকে রহস্যজনক ভাবে ছেড়ে দিলেন পুলিশ।

ঝর্ণা পারভীন(রাজবাড়ী): রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ ঘাট থানার মানব পাচারের বেশ কয়েকটি মামলার আসামীদের কে ছেড়ে দেন পুলিশ টাকার বিনিময়ে। দৌলতদিয়া ঘাট যৌনপল্লী থেকে বেশ কয়েকজন ভিকটিমদের জোরপূর্বক আটকিয়ে রাখা এবং যৌন ব্যবসা করার অভিযোগে বিএম নাজমুল হুদা ৯ জুন নারগিস বাড়ীওয়ালীকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে তাহাকে ছেড়ে দিয়ে ১নং আসামীকে পালাতক দেখিয়ে ভিকটিম সোনালী আক্তার রিয়া (১৭) রিয়ার দেশের বাড়ী গোপালগঞ্জ। সাথীর বাড়ী শরিয়তপুর। সোনালী (১৭) কে উদ্ধার করে আদালতে পাঠান এবং ভিকটিম আদালতে কি জবানবন্দি দেবে এবং আসামিদের মুক্তির পরামর্শ দেন এসআইএবিএম নাজমূল হুদা। এস,আই এর বিরুদ্ধে যে কয়টি ভিকটিম প্রতিটি মানব পাচারকারী আসামীদের নাম ঠিকানা অজ্ঞাত রেখে আসামীদের বর্তমান ঠিকানা ব্যবহার করেন। আসামীদের আসল ঠিকানা না দিয়ে দৌলতদিয়া ঘাটের ঠিকানা দিয়ে আদালতে প্রেরন করেন। প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে জানা যায়। লিপির মামলা নং ১৪ তারিখ ২৩/০৪/২০১৫ইং মামলা নং ১৩ বাড়ীওয়ালী আনজু কে আসামী না করে ছেড়ে দেন। আসামী তিনজন থাকলেও আনজুকে ছেড়ে দিয়ে জহিরুলসহ ২জনকে আসামী করেন। এসআই নাজমূল গোয়ালন্দ ঘাট থানায় ১২/১১/১৪ ইং তারিখে যোগদান করেছেন এবং আসামীদের গ্রেফতার ও মামলার মধ্যে রহস্য রয়েছে। এ ধরনের কর্মকান্ডের কারনে দরুন রাজবাড়ী জেলা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা ৯জুন নাজমূলকে প্রত্যাহার করেছেন বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *