বটিয়াঘাটা ভূমি অফিসে কাজের জট, সেবা বঞ্চিত জনগনের ভোগান্তী চরমে
বটিয়াঘাটা (খুলনা) প্রতিনিধি:খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে নানান জঠিলতায় দীর্ঘদিন ধরে মানুষ সেবা বন্চিত হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরিনত হয়েছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমন্বয়ের অভাবে ভূমি সংক্রান্ত কাজে পদে পদে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী। সম্প্রতি ভুক্তভোগীরা একসোনা ডি সি আর, দীর্ঘ মেয়াদী বন্দোবস্ত সহ রেকর্ড সংশোধনের কাজে কর্তৃপক্ষের জটিলতা, দ্বায়িত্বে অবহেলা ও সেচ্চা-চারিতার কারনে বঞ্চিত হয়ে হতাশার মধে আছে। জমি রেজিষ্ট্রির পর যে খানে এল টি’র নোটিশের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধনের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ বিন্দু মাত্র ভ্রুক্ষেপ না করে জনগনকে ইচ্ছাকৃত ভাবে ভোগান্তীতে ফেলেছে বলে আনেকের অভিযোগ রয়েছে। সরকার রাজস্ব আদায়ের প্রতি কড়া কড়ি আদেশ প্রদান করলেও এসব অশাধু কর্মকর্তা- কর্মচারীদের অবহেলার কারনে কর-খাজনা পরিশোধ করতে ব্যার্থ হচ্ছে এলাকার জনগন। ফলে সরকার যথা সময়ে রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে ব্যার্থ হচ্ছে। ভিপি “খ” তপশীল ভুক্ত সম্পতি মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে কাগজপত্র পর্যালোচনার মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) থেকে স্ব-স্ব মালিককে রেকর্ড সংশোধন পূর্বক কর খাজনা পরিশোধের করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে জমির মালিকগন সরকারী আদেশের প্রতি আনুগত্য শিকার করে নাম যথা সময়ে পত্তনের আবেদন করেন। যার ফলে নাপত্তন কেস গুলি ভূমি অফিসের নির্ধারিত রেজিষ্টারে তালিকা পূর্বক যথা সময়ে তহশীলদার প্রতিবেদন দাখিল করলেও অফিসের কানুনগো’র আলমারীতে অজ্ঞাত কারনে মাসের পর মাস ফেলে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে কানুনগো’র কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, উর্ধত্বন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কাজ বন্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে তিনি আরো বলেন, আস্তে আস্তে আটকে থাকা কাজ গুলো করা হবে। তবে ভুক্তভোগী নাজমূল জানান, ‘খ’ তপশীলের কাজগুলি বিশেষ সুপারিশ এমনকি মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময় গোপনে করা হচ্ছে। তা ছাড়া ভুক্তাভোগী অনেকেই নামপত্তন সংশোধনী কেসে রেজিষ্টারে নাম্বার ফেলাবার জন্য সম্প্রতি সময়ে উৎকোচ গ্রহনের কথা উল্লেখ করেছেন । বটিয়াঘাটা ভূমি অফিসে প্রতি নিয়ত কাজের জন্য শত শত লোকের সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে দেখা যায়।