মোল্লাহাটে শিক্ষক দম্পতির দুর্নীতি ও সমিতির অদুরদর্শিতায় বন্ধের দিনেও পরীক্ষ অনুষ্ঠিত

এম এম মফিজুর রহমান-মোল্লাহাট: মোল্লাহাটে শিক্ষক দম্পতির সীমাহীন অনিয়ম/দর্নীতি/অর্থ আতœসাৎ ও শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা এবং তার পক্ষ নিয়ে অদুরদর্শি শিক্ষক নেতাদের উদ্যোগে সমগ্র মোল্লাহাটে বন্ধ রাখা অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা গতকাল শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই ঘটনায় সপ্তাহের একটিমাত্র ছুটির দিনও ভোগ করতে না পারায় দুর্নীতিবাজ ওই শিক্ষক দম্পতি ও শিক্ষক নেতাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। উল্লেখ্য-উপজেলার দারিয়ালা কাচনা কুশলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক মোল্লা জমির হোসেন ও তার স্ত্রী সহ-শিক্ষক পারভিন আক্তার’র বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, শিক্ষার্থীদের নিরুৎসাহিত করা, অর্থ আতœসাত এবং দুর্ব্যবহার’র অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে গত ০১/০৬/১৫ ইং সকাল ১০টার দিকে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর প্রতিবাদ ও অকথ্য ভাষা ছোড়ার কারনে শিক্ষক নেতারা গত ০৬/০৬/১৫ ইং গোটা মোল্লাহাট এলাকার অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ করে দেন এবং প্রতিবাদ কারীদের শাস্তি দাবী করেন। পরে উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ শাহীনুল আলম ছানা মিয়ার জরুরী হস্থক্ষেপে একদিন পর যথারিতি পরীক্ষা চল্লেও ওই বিদ্যালয় এলাকার পরিবেশ এখনো রয়েছে থমথমে। তথ্যানুসন্ধানকালে ওই স্কুলের ৯ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্র শেখ রাসেল’র পিতা মুক্তিযোদ্ধা শেথ নাজির হোসেন, ৬ষ্ঠ শ্রেণীর মুক্তা ও ৭ম শ্রেণীর রিক্তা’র পিতা ভ্যান চালক-তপন সিকদার সহ অভিভাবক-গাউস সিকদার, শেখ মুক্তি, ভ্যানচালক-হুমায়ূন মোল্লা, মোল্লা নজরুল ইসলাম, শেখ দাউদ হোসেন, শেখ আলমগীর হোসেন, সিকদার আতাউর রহমান, মোল্লা কাকা মিয়া এবং ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী-শেখ রানা, শিমুল, সজল সরদার ও রহিজ মোল্লা সহ অনেকে বলেন-প্রধান শিক্ষক গরীব ছাত্র/ছাত্রী ও অভিভাবকদের বলেন-লেখা পড়া না করে বিড়ির কারখানায় (পাশের গ্রামে) কাজ কর ! টাকা পাবা ! আর যদি ঠিকমত বেতন/টাকা দিতে পারো তা হলে স্কুলে আসবা ! তাছাড়া সকল শিক্ষার্থীদের বলেন-তার নিকট ইংরেজি প্রাইভেট না পড়লে কেউ পাস করতে পারবেনা ! এসকল ঘটনার বিচার দাবীতে অভিভাবক ও স্কুল এলাকাবাসি স্বাক্ষরিত অভিযোগ শিক্ষা মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বরাবরে পাঠনো হয়েছে। ওই স্কুল’র সহকারী প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক খান, শিক্ষক (গণিত) বিকাশ মন্ডল ও অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর বলেন-তারা শিক্ষার্থীদের থেকে জানুয়ারী-জুন মাসের বেতন এবং অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষার ফি নির্ধারিত হারে গ্রহণ করছেন’ কেবল মাত্র উপবৃত্তি প্রাপ্ত মেয়েদের বেলায় বেতন মওকুফ করা হয়, ঘটনার ২দিন গত ৩১/০৫/১৫ইং ও ০১/০৬/১৫ইং আপন ভাই বোন ৯ম শেণীর তারেক ও কনকচাপা ৯শত টাকার স্থলে ২দিনে মোট ৭শত টাকা দিয়ে প্রবেশ পত্র দাবী করলে তাদেরকে শ্লিপ দেয়া হয় এবং বাকি ২শত টাকা দিলে প্রবেশ পত্র দেয়ার কথা বলা হয়, ওই ঘটনায় তারা ক্ষুব্ধ হয়ে স্থনীয় অসংখ্য লোক-জন জড়ো করে পথিমধ্যে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী সহ-শিক্ষককে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেছে, তারই প্রতিবাদে শিক্ষক নেতাদের উদ্যোগে উপজেলার সকল স্কুলের পরীক্ষা ০৬/০৬/১৫ ইং হতে বন্ধ করে দেয়া সহ সকাল ১০টায় অত্র বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকরা সমাবেশ করে। প্রধান শিক্ষক মোল্লা জমির হোসেনকে খুজে না পাওয়ায় তার স্ত্রী সহ-শিক্ষক পারভিন আক্তার বলেন-স্কুলে ঢুকে মেম্বার সবুজ তাকে অশালিন ভাষায় গালি-গালাজ করায় তিনি এর বিচার দাবী করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *