১১ বছর ধরে চুয়াডাঙ্গার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের ২টি ঘর জোর পূর্বক দখল করে সংসার ফেঁদেছেন ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুন !
হাবিবুর রহমান,চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের দ্বিতীয় তলার উপ-সহকারী প্রকৌশলীর বরাদ্দ দুইটি ঘর দখল করে ১১ বছর ধরে সেখানে সংসার ফেঁদেছেন ওই ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুন। তিনি এতটাই বেপরোয়া যে অবৈধভাবে দখল করা ঘর ছাড়তে বলায় তিনি জাতীয় সংসদের হুইপ ও সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নাম ভাঙাচ্ছেনে বলে গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে। উপেক্ষিত করেছেন সাম্প্রতিক সময়ে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ পরিদর্শনে আসা খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদের নির্দেশনাকেও। পুলিশ কর্তৃক এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষিত ফেরারী আসামী সাবেক সন্ত্রাসী বাহিনী হক গ্রুপের ও বর্তমানে পূর্ব বাংলার কমিউনিষ্ট পার্টির সদস্য শাহজাহানের স্ত্রী ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুনের ঔদ্যত্বে স্তম্ভিত ওই এলাকাবাসী। চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( স্থানীয় সরকার ) আনজুমান আরা জানান, কুতুবপুর ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুন গত ১১ বছর থেকে কারর অনুমতি ছাড়াই পরিষদের বিদ্যূৎ ব্যবহার করে উপ-সহকারি প্রকৌশলীর বরাদ্দ দুইটি ঘর দখল করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছেন। যেটা আইনের চোখে অপরাধ। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ খুলনা বিভাগীয় কমিশনার আবদুস সামাদ কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় পরিদর্শনে এসে ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুনকে পরিষদের দখল করা ঘর ছাড়ার নির্দেশ দেন। গত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তৎকালীন চুয়াডাঙ্গা স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মলিলক সাঈদ মাহবুব ওই অবৈধ বসবাসের আইন সংগত বিরোধীতা করে ওই ইউপি সদস্যকে পরিষদের ঘর ছাড়তে বলেন। এরপর গত ২৬ মে ২০১৫ তিনি নিজেও ওই ঘর দখল মুক্ত করতে বলেন। কিন্তু ওই সদস্য এ নির্দেশনায় কান দেননি। ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুনের ভয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই পরিষদের এক কর্মচারি জানান, দীর্ঘ ১১ বছর এ মহিলার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খোলার সাহস পায়নি। সে তার ছেলে, ছেলের বউ ও মেয়ে নিয়ে দখল করা ঘরে সংসার ফেঁদেছেন। এখানে পরিষদের বিদ্যূৎ ব্যবহার করে ১১ বছর সরকারের প্রায় ৩ লাখ টাকার বিদূৎ বিল অপচয় করেছেন। এ প্রসঙ্গে ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুনকে সাংবাদিক পরিচয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি রাগান্নিত হয়ে বলেন। আমি যা করেছি তা হুইপ ছেলুর সবই জানে। আপনাকে কৈফিয়ত দিতে হবে কেনো। তিনি আরো বলেন, সামনে আসুন তখন সব বলবো। ইউনিয়ন পরিষদে থাকার জন্য তার কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত ২০০৪ সাল থেকে তিনি তৎকালীন চেয়ারম্যান নূরুল ইসলামের মুখের অনুমতি নিয়ে এখানে বসবাস করে আসছেন। তার কোন লিখিত অনুমতি নেই বলেও তিনি জানান। এ প্রসঙ্গে বর্তমান কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম বলেন, আইনগত বিষয়ের বাইরের কথা তিনি বলতে পারবেন না। তবে ইউপি সদস্য হাসিনা খাতুনের ইউপি ভবনে বসবাসের কোন লিখিত অনুমতি নেই। কিভাবে তিনি বসবাস করছেন তা ওই সদস্যই ভাল বলতে পারবে।