বন্ধুত্বপূর্ণভাবে ভারতের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নেয়া হয়েছে, কোনো শর্ত দিয়ে নয় : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ রেখেই বন্ধুত্বপূর্ণভাবে ভারতের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা গ্রহণ করা হয়েছে। কোনো শর্ত দিয়ে আমরা কিছু নেই না। বুধবার সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, ভারতের কাছ থেকে ইতোপূর্বে ১ বিলিয়ন ডলার পাওয়া গিয়েছিল। এর মধ্যে দুইশ’ মিলিয়ন ডলার অনুদান হিসেবে এসেছিল। এগুলো মূলতঃ অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করা হয়েছে। এ সব উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের প্রধনামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক সফরে ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ অর্থ কোন কোন খাতে ব্যয় করা হবে তা আলাপ-আলোচনাক্রমে ঠিক করা হবে। এ ব্যাপারে কোন শর্ত নেই। আমরা আমাদের মতো করে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবো।’ প্রসঙ্গত, টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং ইকোনমিকস টাইমস এ ঋণচুক্তি প্রসঙ্গে নিজ নিজ প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ঋণচুক্তি অনুযায়ী এই টাকায় প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রয়াজনীয় সরঞ্জাম এবং সেবার অন্তত ৭৫ ভাগ ভারত থেকে এবং ভারতীয় কোম্পানির উৎপাদিত হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এখন দ্রুত অর্থনৈতিকভাবে অগ্রসর হচ্ছে। বাংলাদেশের জিডিপি’র পরিমাণ বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিশ্বব্যাংক থেকে একটি রিপোর্ট সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। রিপোর্টে দেখা যায়, জিডিপি’র পরিমাণ বৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে জিডিপি’র টার্গেট করেছে তা পূরণ করে দেশকে যেভাবে দ্রুত উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাওয়া যাবে, সেভাবে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে যে যে খাতে অর্থ ব্যয় করা প্রয়োজন সেগুলো মাথায় রেখে অগ্রাধিকার খাত নির্ধারণ করা হবে। ‘এ অর্থ আমরা যে যে খাতে যেভাবে ব্যবহার করতে চাই সেভাবেই ব্যবহার করতে পারবো। কোনো ধরনের শর্ত দিয়ে এ অর্থ গ্রহণ করা হয়নি।’ যোগ করেন শেখ হাসিনা।