ফকিরহাটে ১২টি সরঃ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মুলভবন পরিত্যাক্ত ঘোষনা,পাঠদান ব্যাহত
বি. এম. রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো: বাগেরহাটের ফকিরহাটে মুল ভবন সহ অবকাঠামোগত নানান সমস্যায় জর্জরিত হওয়ায় ১২টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষারমান ক্রমে নিম্নমূখী হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার উর্দ্ধতন কর্মকার্তাদের অবহিত করা হলেও দীর্ঘদিনেও তার কোন সুরাহ না হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যত্রম চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে বলে আশাংকা করা হচ্ছে। অতিদ্রুত পরিত্যাক্ত ভবন গুলি পুনঃ নির্মান করা না হলে শিক্ষা কার্যক্রম নানান ভাবে ব্যাহত হবে বলে সংশি¬ষ্ঠরা আশাংকা প্রকাশ করেছেন। জানা যায়, উপজেলায় প্রায় ৭৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় করণসহ সরকারী ৭২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২টি কমিউনিটি বিদ্যালয় এবং ১টি সেটেলাইট প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসমস্ত বিদ্যালয়ে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষার্থী পড়ালেখা করে থাকে। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এত গুলি বিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টি বিদ্যালয়ের অবস্থা সবচেয়ে শোচনীয়। তার মধ্যে ৬টি বিদ্যালয় সম্পূন্য পরিত্যাক্ত এবং বাকি ৬টি বিদ্যালয়ে ঝুকপূর্ণ অবস্থার শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। শিক্ষা মন্ত্রনালয় প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নে একের পর এক নুতন নুতন নানান পদক্ষেপ গ্রহন করলেও পরিত্যাক্ত ও ঝুকিপূর্ণ ভবন নির্মাণে তেমন কোন বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন না করায় শিক্ষার মান উন্নয়নে সকল কার্যক্রম পদে পদে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। সরেজমিনে অনুসন্ধ্যান কালে জানা যায়, গাবখালী সরকারী (জাতীয় করণ) প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাইকপাড়া সরকারী প্রাধমিক বিদ্যালয়, কালিবাড়ী সরকারী (জাতীয় করণ) প্রাথমিক বিদ্যালয়, জাড়িয়া সরকারী (জাতীয় করণ) প্রাথমিক বিদ্যালয়, কচুয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও কামটা সরকারী (জাতীয় করণ) প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসমস্ত বিদ্যালয়ের মুল ভবন অত্যান্ত ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ইঞ্জিনিয়ার রির্পোটে বিদ্যালয় গুলি সম্পূর্ণ পরিত্যাক্ত ঘোষনা করা হয়। বিদ্যালয়ের মুল ভবন গুলি পরিত্যাক্ত ঘোষনা করায় বিপুল সংখ্যাক ছাত্র/ছাত্রী স্থানীয়দের সহযোগীতায় তৈরীকৃত কুড়ে ঘরে প্রচান্ড তাপে কোন রকমের ক্লাস করছে। স্থানীয় বিদ্যালয়ের অভিভাবকরা বলেছেন, চৈত্র মাসের খরতাপে এবং প্রচান্ত গরমে কোমমতি শিশুরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে ক্লাস করতে গিয়ে অসুস্থ্য হয়ে পড়ছে। অপরদিকে জয়পুর সরকারী (জাতীয় করণ) প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮টাকা সরকারী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়, কাহারডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শেকেরডাঙ্গা সরকারী (জাতীয় করণ) প্রাথমিক বিদ্যালয়, সৈয়দ মহল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিরিন হক সরকারী (জাতীয় করণ) প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভারাশিয়া কাজি আশরাফ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় র্দীঘদিন যাবৎ পড়ে রয়েছে। বিদ্যালয় গুলির শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলেছেন, ঝুকিপূর্ণ ভবন হওয়ার চরম আতংকে মধ্যেও কোন কোন স্থানে ক্লাস করতে হচ্ছে। অনেক সময় বিদ্যালয়ের প¬াষ্টার ও ইট খসে পড়ে শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও আহত হচ্ছেন বলেও অনেকে অভিযোগ করেছেন। এঅবস্থার উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষারমান উন্নয়নে বাধাগ্রস্থ হওয়ার আশাংকা করছেন সচেতন জনগন। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোসাঃ সামীমা আক্তার এর সাথে আলাপ করা হলে তিনি বলেন বিদ্যালয় গুলি পরিত্যাক্ত ও ঝুকিপূর্ণ হওয়ার বিষয়ে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কে একাধিকবার মৌখিক ও লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে