সুন্দরগঞ্জে খাস জমির বন্দোবস্ত তালিকা প্রস্তুতে ব্যাপক অনিয়ম
মোশাররফ হোসেন বুলু, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা): সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় খাস জমির বন্দোবস্ত তালিকা প্রস্তুতে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, উপজেলার কাপাসিয়া ইউনিয়নের তিস্তা ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর চরে প্রায় ৫ হাজার একর খাস জমি সরকারীভাবে ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্ত দেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। ভূমিহীনদের তালিকা প্রস্তুত করতে উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার আবুল কালাম আজাদ একটি ভূমি দস্যু চক্রের সাথে আতাত করে জন প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা উৎকোচের বিনিময়ে স্বচ্ছল ও বহিরাগত ব্যক্তিকে ভূমিহীন দেখায়। সম্প্রতি আবেদন পত্র গুলো যাচাই-বাচাইয়ের কাজ চলছে। এদিকে কাপাসিয়ার ইউপি সদস্য ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার লায়েক আলী খাঁন মিন্টু অভিযোগ করেন, তার মৌজা থেকে যে সকল আবেদন পত্র জমা পড়েছে তাতে সার্ভেয়ার মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিয়ে স্বচ্ছল ব্যক্তি ও অন্য উপজেলার বাসিন্দাদের নাম সম্পৃক্ত করা হয়েছে। ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়ার জাল স্বাক্ষরে প্রত্যয়নপত্র সংযুক্ত করা হয়েছে ভূমিহীন হিসেবে খাস জমি পাওয়ার জন্য। স্থানীয় বাসিন্দা ফজলার রহমান, জালাল হোসেন, লাল চাঁদসহ অনেকে জানান, খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য যাদের আবেদনপত্র গ্রহন করা হয়েছে তাদের অধিকাংশই বহিরাগত ও স্বচ্ছল। প্রকৃত ভূমিহীনরা খাস জমির দখল নিয়ে অবস্থান করলেও তালিকায় তাদের নাম থাকায় বন্দোবস্তকৃত জমির দখল নিতে গিয়ে ব্যাপক সহিংসতা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া জানান, ভূমিহীনদের নাম সমন্বিত যে আবেদনপত্র জমা হয়েছে তার অধিকাংশই ভূমিহীনের আওতায় পড়ে না। এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল হাই মিলটন জানান, খাস জমি বন্দোবস্ত দেয়ার আগে আবেদনপত্র গুলো সুষ্ঠুভাবে যাচাই-বাছাই করা হবে। প্রকৃত ভূমিহীনরা খাস জমি বন্দোবস্ত পায় সেদিকে দৃষ্টি দেয়া হবে।