দশমিনায় ভূমি দস্যুদের খুটিঁর জোর কোথায় ? এলাকাবাসী অতিষ্ঠ
দশমিনা প্রতিনিধি: ভূমিদস্যুদের খুটিঁর জোর কোথায়? ক্ষমতার অপব্যবহার পেশিশক্তির প্রভাব দেখিয়ে পটুূয়াখালীর দশমিনা উপজেলার চরহোসনাবাদ এলাকায় ভূমি দস্যুরা অবৈধভাবে মূল্যবান জমি জবরদখল করছে। ভূমি দস্যুদের কর্তৃক দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা ও হামলায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে এলাকাবাসী। একের পর এক প্রকৃত ভূমি মালিকদের মালিকানা থেকে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। সাধারন মানুষের ন্যায্য ভূমি অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ভূমিদস্যু চক্ররা থানা পুলিশ ও আইন আদালতে নিষেধাজ্ঞাকে তোয়াক্কা না ইমারত নিমার্ণ করছে। কেউ বাধাঁ নিষেধ করলে তাকে পিটিয়ে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদীদেরকে চাদাঁবাজীসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে এবং জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। এলাকাবাসী সূত্র জানান, উপজেলার চরহোসনাবাদ গ্রামের মৃত হাশেম মৃধা ছেলে মতলেব মৃধার নেতৃত্বে মটর সাইকেল মিস্ত্রি রিয়াজ মৃধার পৈত্তিক ও কবলাকৃত জমিতে বাদশা মুন্সির বহুতল পাকা ইমারত, রহিম মৃধার একতলা পাকা ইমারত, স’মিল মালিক লালু মিয়ার জামাতার টিনসেট ঘর নিমার্ণ করে দখল করে নেয়। মো: মজিবর মাওলানা বাড়ীর পাশ্বে জমিতে বালু ভরাট করে দখলে নেওয়ার পায়তারা করছে। অসহায় মটর সাইকেল মিস্ত্রি রিয়াজ মৃধার পৈত্তিক ও কবলাকৃত প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি দখল করে নিচ্ছে। রিয়াজ মৃধা ভূমি দস্যুদের হাত থেকে জমি উদ্ধার করার জন্য চীফ হুইফ আ.স.ম ফিরোজ, দশমিনা – গলাচিপা আসনের সাংসদ আ,খ,ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারসহ বিভিন্ন মহলের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। উপজেলার এ ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ভূমি জবরদখলের একার্ধিক অভিযোগ রয়েছে। উপজেলার একই গ্রামের মোঃ শাহজাহান চৌকিদারের প্রায় ৬০ শতাংশ, মন্টু সিকদারের পৈত্তিক ভূমি, কামাল মৃধার এবং আরজবেগী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মাওঃ মোঃ কবির হোসেনের ভূমি দখল করে নেয়। ভুক্তভোগী মটর সাইকেল মিস্ত্রি রিয়াজ মৃধা জানান, আমার বাবা মৃত আমির হোসেন মৃধা আমাদেরকে নাবালক অবস্থায় রেখে মৃত্যুবরণ করেন। আমার বাবা ও মায়ের সারা জীবনের আয়ের টাকা দিয়ে উপজেলার চরহোনাবাদ মৌজার সিএস, আরএস এবং এস,এ খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক ও তাদেও ওয়ারিশদের কাছ থেকে সাব কবলা দলিলমূলে জমি ক্রয় করেন। আমার বাবার মৃত্যুর পর আমাদের জমি জবরদখলে নিয়ে ভোগদখল করে আবার বিক্রি ও করে দেয়। আমরা নাবালক থাকায় কোন কিছুই বুঝি নাই। আমার মা প্রতিবাদ করলে তাকে লাঠিছোটা দিয়ে পিটিয়ে জীবনের তওে পঙ্গু কে ফেলেছে। ওই মৌজার ১৫৪ নং খতিয়ানের ০২.১৬ শতাংশ, ১৫৫ নং খতিয়ানের ০১.৫৬ শতাংশ, ১৫৬ নং খতিয়ানের ০৩.৪৫শতাংশ, ১৫৭ নং খতিয়ানের ৩৯.১২ শতাংশ, ১৫৮ নং খতিয়ানের ৮২.০৪ শতাংশ, ১৫৯ নং খতিয়ানের ১৭.১৪ শতাংশসহ সর্ব মোট ১.৪৫৪৭ শতাংশ জমি বেহাত হয়ে আছে। এ ছাড়া আরো অনেক খতিয়ানের জমির হিসাব নিকাশ এখনও করা হয়নি। সব মিলিয়ে আমাদের প্রায় সাড়ে ৩ একর জমি দস্যু বাহিনীরা জবরদখল ভোগদখল করে আছে। আমরা অসহায় হয়ে পরেছি। আমাদের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছি। আমাদেরকে সাহায্যেও জন্য যে এগিয়ে আসছে। তাদেরকে ও জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। কাউকে আবার টাকা ও ক্ষমতার প্রলোভন দেখাচ্ছে। ফলে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বারবার বঞ্চিত হচ্ছি। মতলেব মৃধা, দেলোয়ার মৃধা ও বাদশা মুন্সিসহ অন্যন্য ভূমিদস্যুরা এক জোট হয়ে আমার পৈত্তিক ও কবলাকৃত ভূমি জবরদখল করে পাকা ভবন তৈরি করে উচ্ছেদ করা হচ্ছে। আমার ভূমিতে ভূমি দস্যু বাদশা মুন্সি, সাহাবুল মৃধা, আলাউদ্দিন, মতলেব মৃধা জবরদখল করে পাকা ভবন নির্মাণ কাজ করে আসছে। উক্ত কাজ বন্ধ করার জন্য থানা পুলিশ বললে তাদের চাকরী খেয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। আমার কবলা ও পৈত্তিক ভূমিতে হারুন মৃধা ও তার সহধর ভাই রহিম মৃধা পাকা ভবন নির্মাণ করে দখল করে নেয়। আমার জমি উদ্ধার করার জন্য জেলা পুলিশ সুপারের শরনাপন্ন হই। কিন্ত তাতে কোন সুফল পাচ্ছি না। আমি অসহায় গরীব এতিম থাকায় এ সংঘবদ্ধ ভূমিদস্যু চক্র আমার পৈত্তিক ও কবলাকৃত প্রায় সাড়ে ৩ একর ভূমি থেকে সম্পূর্ণভাবে উচ্ছেদ করার পায়তারা করছে। আমি এ ব্যাপারে থানা পুলিশের কাছে গেলে কোন সুফল পাইনি। আমি আমার ভূমি কাগজপত্র নিয়ে সাংসদ আ,খ,ম জাহাঙ্গীর হোসেনের শরনাপন্ন হই। তিনি থানার ওসিকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেন। ভূমি দস্যুরা আমার পৈত্তিক জমি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। একইগ্রামের ভূক্তভোগী শাহজাহান চৌকিদার জানান, আমার ফুফু কোমলজান বিবি নিঃসন্তানী থেকে মারা যান। আমার ফুফুর ভূয়া ওয়ারিশ দাবী করে ৬০ শতাংশ জমি অবৈধভাবে ভোগদখল করেছে। স্থানীয় ব্যক্তিদের শরনাপন্ন হইলে তারা কাগজপত্রাদি দেখাতে বলে কিন্তু ভূমি দস্যু বাহিনীরা কোন কাগজপত্র না দেখাইয়া পেশিশক্তি ও ক্ষমতার জোরে আমাদের ভোগদখলীয় ভূমি থেকে উচ্ছেদ করে। ভূক্তভোগী মন্টু সিকদার জানান, ভূমি দস্যুদের আত্যাচার ও নির্যাতনে আমরা সাধারন মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পরেছি। আমাদের পৈত্তিক ভূমি অবৈধভাবে দখল করে নিচ্ছে। এমন কি ভূমি দস্যু লাঠিয়াল বাহিনীর পূর্ব পুরুষের সাব কবলা দলিলের বিক্রিত ভূমি থেকে ক্রয়তাদেরকে উচ্ছেদ করছে। আমরা এদের বিচার চাই। আমরা এদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিলে সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে ফেলে। ফলে আমরা অসহায় গরীবেরা ন্যায্য অধিকার ও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছি