সিদ্ধিপাশা কাজী সাহেবের আস্থানায় কথিতপীর
মিয়া বদরুল আলম(খানজাহান আলী থানা): আজ আমি এমন এক মহান ব্যক্তির আস্থানার কথা লিখতে বসেছি। যিনি সাধারন মানুষ ছিলেন না। তিনি ছিলেন অসাধারন অধ্যাতিক কামেল হুজুর বাংলাদেশের অনেক জায়গায় হুজুরের নামের যথেষ্ঠ খ্যাতি আছে। যা আমার মত ক্ষুদ্র নগন্য ব্যক্তি ক্ষুদ্র জ্ঞান দ্বারা হুজুরের আস্থানার কথা লিখা তো দূরের কথা চিন্তা করা ও শোভা পায় না তারপর ও একান্ত বাধ্য হয়েই লিখতে বসেছি মুলত ঃ একজন খ্যাতিমান আল্লাহর কামেল ব্যক্তির আস্থানায় হুজুরের ইন্তেকালের পর বর্তমানে দায়ীত্বশীল হুজুরের (কথিতপীর) কির্তী কলাপ তুলে ধরবার জন্যই আমার এই প্রস্তুতি। পাঠক গনের কাছে আমার একান্ত— অনুরোধ পাঠক গন বিষয়টিকে অন্য ভাবে দেখবেন না। আমি সরেজমীনে ঘূরে এসে সত্য ঘটনা গুলো তুলে ধরবার চেষ্টা করছি মাত্র। প্রথমে আমার পরম শ্রদ্ধের মরহুম আম্মা আব্বা জানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে কাগজ কলম লইয়া লিখা শুরু করছি। আমার মরহুম পিতা তৎকালিন ইউ.পি চেয়ারম্যান মিয়া নূরুল হুদা সাহেব ও এলকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের নিকট হইতে সংগ্রহ করা কাজী সাহেবের আধ্যাতিক ক্যামেলিয়াতের কাহিনির কিছু অংশ তুলে ধরছি, এবং ধারা বাহিক ভাবে কাজী সাহেব হুজুরের আস্থানায় বর্তমান হুজুরের (কথিত পীর) কির্তী কলাপ তুলে ধরবার চেষ্টা করছি। আশা করি পাঠক গন ধৈয্য সহকারে পড়বেন এবং বিষয়টি অনুধাবন করবেন। বহুল আলোচিত যশোর জেলার অন্তর্গত অভয়নগর উপজেলার ভৈরব নদের গাঁ ঘেষে সিদ্দিপাশা গ্রাম এই সিদ্দিপাশা গ্রামের কাজী পাড়া এলকায় হযরত মাওলানা কাজী আঃ রউফ (রহঃ) (কাজী সাহেব) এর দরবার শরীফ, এই ঐতিহ্য বাহী দরবার শরিফে বসে যশোহর খুলনা সহ দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলের সাধারন মানুষদের সেবা করতেন। কাজী সাহেব হুজুর আধ্যাতিক কামেল হুজুর ছিলেন। জনশ্র“তি আছে এক সময় ভৈরব নদে কুমীর আসত এবং এ অঞ্চলের অনেক মানুষকে কুমীরে ধরেছে হুজুরের জীবদ্বর্শ্বাতেই হুজুরের ক্যামেলিয়াতের কারনে ভৈরব নদে মানুষ খেঁকো কুমীর আসা বন্ধ হয়, আর আসলেও ভাসমান অবস্থায় আসতে হতো এ দৃশ্য গ্রামের অনেক মরুব্বী দেখেছেন বলে গ্রাম বাসির সূত্রে জানা যায়। একবার মিরোমনি গ্রামের পাশে বিল ডাকাতিয়ার ধানের ফসলে সাংগি পোকার ব্যাপক আক্রমন হয় ও বিলের সমস্থ ধানের ফসল নষ্ঠ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয় তখন শিরোমনি এলাকার কিছু গন্যমান্য ব্যক্তি কাজী সাহেব হুজুর কে দাওয়াত করে ডাকাতিয়া বিলের পাড়ে লইয়া আসেন এবং হুজুর কিছু সাংগি পোকা ধরে ছেড়ে দিলেন সংগে সংগে বিল ডাকাতিয়ার ধানের ফসল থেকে সমস্থ সাংগি পোকা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে চলে যায়। কাজী সাহেব হুজুরের বাড়ীর পূর্ব পার্শ্বে বড় একটা দীঘী করেছিলেন যাহার লম্বা প্রায় ৩০০০ (তিন হাজার ফুট) ফুট প্রস্থ প্রায় ২০০ ফুট (দুই শত) এই দিঘীতে দুইটি কুমির ছিল। এই দীঘীর পানি এত স্বচ্ছ ছিল যে, দূর দূরন্ত থেকে আসা ভক্ত বৃৃন্দ ও এলাকার জন সাধারন এই পানি পান করে তাদের তৃষা নিবারন করতেন এবং রোগ ব্যধি নিরাময়ের জন্য এই পানীয় ব্যবহার করিতেন ও তৎকালিন সময়ে টিউবয়েল না থাকার কারনে এই পানি দিয়ে এলাকার সাধারন মানুষ সকল তৃষা মিটানো ছাড়া রান্নার কাজে ও ব্যবহার করতেন কিন্তু বর্তমানে এই দিঘীর পানি এত নোংরা যে, স্ব-চোক্ষে না দেখলে তা বর্ণনা করা যাবে না।কাজী সাহেব হুজুরের একটি ঘোড়া ও একটি কাঠের তৈরী পালকি ছিল। হুজুর ঘোড়ার চড়ে বিভীন্ন এলকায় যেতেন ও উনার ভক্ত বৃন্দের খোঁজ খবর সহ সাধারন মানুষের সেবা করিতেন শুধুমাত্র যখন তিনি অসুস্থ থাকতেন তখন প্রয়োজনে বিভীন্ন এলকায় যাওয়ার জন্য পালকি ব্যবহার করিতেন। কাজী সাহেব হুজুরের ইন্তেকালের কিছু দিন পর দিঘীর দুইটা কুমীর ও একমাত্র ঘোড়াটি মারা যায়। কিন্তু পালকীটি এখন ও কাজী সাহেব হুজুরের বাড়ী সংলগ্ন মস্জীদে রক্ষীত আছে। কাজী সাহেব হুজুরের বাড়ীর সাথে হুজরা খানা ও মস্জীদ, এই হুজরা খানায় বসে কাজী সাহেব জনসাধারনের খেদমত করিতেন বর্তমানে এই হুজরা খানার বেহাল দশা দেখলে মনে হয় এখানে যেন দেখার কেহই নাই। আর মস্জীর্দটির অবস্থা আরও খারাপ মসজীদের বাহিরে একটু রংচং থাকলে ও ভিতরে কিছু অংশে নিম্ন মানের টাইলস্ লাগানো আছে এবং কিছু অংশ অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে, মস্জীদ ঘরে ফ্যান আছে তার আছে অথচ সুইচ দিলে ফ্যান চলে না মুসল্লীরা এই প্রচন্ড গরমে অনেক কষ্ট করে এই মস্জীদে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন। মুসাল্লিরা জানান বর্তমান কর্থিত পীর এই মস্জীদে নিয়মিত নামাজ আদায় করেন না তাই তিনি রক্ষনা বেক্ষনাও করেন না। মস্জীদের মুসাল্লী ও গ্রাম বাসির সূত্রে জানা যায় প্রতি বৎসর কাজী সাহেব হুজুরের ওফাত দিবসে গ্রামবাসী ও ভক্তবৃন্দের সহযোগিতায় এখানে ওরশ শরিফ অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় হুজুরের ভক্ত বৃন্দ ও এলাকার ধনাধ্য ব্যক্তি বর্গ কাজী সাহেব হুজুরর সম্মান্থে স্থাপনা গুলি সংস্কার ও সংরক্ষনের জন্য মোটা অংকের টাকা দান করেন অথচ নাম মাত্র কাজ দেখিয়ে বাকী টাকা নিজে আত্মসাত করেন। বাড়ীর সামনে রাস্তার পশ্চিম পাশে কাজী সাহেব হুজুরের মাজার শরিফ যার কোন রক্ষনা বেক্ষন নাই বললেই চলে। বর্তমানে কথিত পির কাজী মিজানুল হকের সাথে এব্যাপার কথা বলতে চাইলে উনার স্ত্রী (স্যালোয়ার কামিজ পরিহিত) আমাকে বলেন আমরা কিছু বলব না আপনি গ্রামবাসির কথা শোনেন। এই কথা বলে উনি ভিতরে চলে যান তবে বর্তমান পীরের আম্মার কথায় কিচু সত্যতা পাওয়া যায়।
এর পর চোখ রাখুন পত্রিকার পাতায়।