লোহাগড়ার কৃষকরা সোনালী আঁশে স্বপ্ন বুনছেন
কাজী আশরাফ,লোহাগড়া(নড়াইল)প্রতিনিধি: মাঠের পর মাঠ সবুজে ঢাকা। দিগন্তজোড়া মাঠ দেখলে মনে হয় কেউ যেন সবুজের গালিচা পেতে রেখেছে। বাতাসে দুলছে কচি পাট গাছের ডগা। নয়নাভিরাম এ দৃশ্য দেখা যাবে নড়াইল জেলার লোহাগড়ার উপজেলার মাঠে মাঠে। দেশের অন্যতম পাট উদপাদনকারী উপজেলা লোহাগড়া। খুলনা বিভাগের মধ্যে অন্যতম এই লোহাগড়ায় বেশির ভাগ জমিতে পাটের আবাদ হয়। এই উপজেলায় চলিত মৌসুমে রেকর্ড পরিমান জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। দ্রুত বড় হচ্ছে পাট । সোনালী আঁশ থ্যাত পাট নিয়ে স্বপ্ন বুনছেন এলাকার কৃষক। লোহাগড়া উপজেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে সদ্য যোগদান কৃত কৃষি অফিসার সমরেন বিশ্বাস জানান, চলিত মৌসুমে উপজেলায় এবার পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৯ হাজার ৫৭৪ হেক্টর জমি নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ১০ হাজার ৯৪০ হেক্টর জমি। যা লক্ষ্য মাত্রার থেকে অনেক বেশি। তিনি আরও জানান, প্রতি হেক্টর জমিতে প্রায় ১০ বেল অর্থাৎ এক বেল সমান পাঁচ মন পাট উৎপাদন হবে সে হিসেবে উপজেলায় এবার ১০ লাখ ৯ হাজার ৪০০ বেল পাটের উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। লোহাগড়া উপজেলার দেবী গ্রামরে পাটচাষী সেলীম শেখ জানান, এ এলাকার প্রধান ফসল পাট, বাজার দর যাই থাক না কেন তাদের পাট আবাদ না করে উপায় নেই। তাই পাটকে ঘিরেই তাঁদের সব স্বপ্ন। গোপীনাথপুরনিবাসি মঞ্জুরুল কমির মুন জানান, লোহাগড়া পাট প্রধান এলাকা, পাটের দামের ওপর কৃষকদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা অনেকাংশেই নির্ভরশীল। তিনি আরও বলেন, সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তারা যদি কৃষকদের পাশে থেকে অর্থনৈতিক সহযোগীতাসহ কৃষি পন্য নিশ্চিত করতে পারেন এবং পাট উৎপাদনের খরচের দিক বিবেচনা করে পাটের বাজার দর সঠিক ভাবে নির্ধারন করেন তাহলেই লোহাগড়ার কৃষকরা পাট চাষে আরো আগ্রহী হবেন।