কারওয়ান বাজার রেলক্রসিংয়ে দুটি ট্রেন আটক

imagesবেতনের দাবিতে দুটি ট্রেন আটকে রাখলেন রেলক্রসিংয়ে গেট ফেলার দায়িত্ব পালনকারী দৈনিক মজুরিভিত্তিক কর্মীরা। গতকাল রোববার বিকেলে রাজধানীর
কারওয়ান বাজার রেলক্রসিংয়ে এ ঘটনা ঘটে।বিক্ষুব্ধ কর্মীরা রেললাইনে অবস্থান নিয়ে কমলাপুর থেকে জামালপুরগামী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে কমলাপুরমুখী দুটি ট্রেন প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা আটকে রাখেন।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে শতাধিক কর্মী তেজগাঁও রেলক্রসিংয়ে (এফডিসির পাশে) রেললাইনে অবস্থান নেন। তাঁরা ক্রসিংয়ের কক্ষে থাকা যে চাবির মাধ্যমে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে ট্রেন চলার সংকেত দেওয়া হয়, সেই চাবি খুলে নিয়ে যান। ফলে দুই দিক থেকে আসা দুটি ট্রেনের চালক সবুজ সংকেত না পেয়ে ক্রসিংয়ের কাছাকাছি ট্রেন থামিয়ে দেন। ট্রেন দুটিতে যাত্রী ছিল।রেলের কর্মকর্তারা বলছেন, রেলের কর্মীদের দ্বারা মাঝপথে ট্রেন আটকে রাখার এমন ঘটনা নজিরবিহীন।বিক্ষুব্ধ কর্মীদের মধ্যে মো. শাহীন দাবি করেন, তিনি সাত বছর ধরে দৈনিক হাজিরার ভিত্তিতে গেট ফেলার দায়িত্ব পালন করছেন। মাসে বেতন পান ৪ হাজার ৪৫০ টাকা। গত ফেব্রুয়ারি থেকে আর বেতন পাচ্ছেন না।মানিক হোসেন জানান, তিনি নয় বছর ধরে কাজ করছেন। চার মাস বেতন বন্ধ থাকায় না খেয়ে মরার অবস্থা হয়েছে। নিরুপায় হয়ে ট্রেন আটকেছেন।গেট কর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিক্ষোভে অংশ নেওয়া কর্মীরা নারায়ণগঞ্জ থেকে টঙ্গী পর্যন্ত ৩৮টি ক্রসিংয়ে দায়িত্ব পালন করেন। সংখ্যায় তাঁরা ২০২ জন। তাঁরা আগে থেকেই জানতেন দুটি ট্রেন দুই দিক থেকে আসছে এবং তেজগাঁও রেলক্রসিংয়ে পাশাপাশি পার হবে। এ জন্যই পরিকল্পনা করে ওই স্থানে অবস্থান নেন। ট্রেন আটকানোর খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।এর মধ্যে রেলের এক কর্মকর্তা মুঠোফোনে কল দিয়ে আলোচনার জন্য বিক্ষোভকারীদের ডাকেন এবং রেললাইন ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ করেন। সন্ধ্যা ছয়টার দিকে যমুনা ট্রেনটি চলা শুরু করে। পরক্ষণেই চলতে শুরু করে তিতাস কমিউটার ট্রেন, জানতে চাইলে রেলের ঢাকা বিভাগীয় ব্যবস্থাপক আরিফুজ্জামান বলেন, বাজেট বরাদ্দে কিছুটা গড়বড় হওয়ার কারণেই সমস্যা হয়েছে। বেতনের বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *