আইন শৃংখলার চরম অবনতি সৈয়দপুরে অপরাধকর্মীর অপরাধকর্ম ও পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ
মোতালেব হোসেন,(নীলফামারী):দেশের ৫ম বাণিজ্যিক শহর হিসেবে খ্যাত এলাকা সৈয়দপুর। ব্যবসায়ী যত খ্যাতি অর্জন করছে সৈয়দপুর তেমনি পাল্লা দিয়ে চলছে আইন শৃংখলা অবনতি হওয়ার কর্মকান্ড। পুলিশ ব্যস্ত চাঁদাবাজিতে, নেতারা দখলবাজিতে, ডাকাতরা ডাকাতিতে, ছিনতাইকারীরা ছিনতাইয়ে এবং ধর্ষকরা ব্যস্ত রয়েছে ধর্ষন কর্মকান্ডে। সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে সাধারণ মানুষজন এমনটাই অভিযোগ করেন। জনসাধারণের অভিযোগ মতে, সৈয়দপুর উপজেলার পুলিশ প্রশাসন চাঁদাবাজিতে ব্যস্ত থাকায় সম্প্রতি উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নে এক মোটর সাইকেল চালককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত করে মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। খাতামধুপুর ইউনিয়নের হামুরহাট এলাকার কামারপুকুর চিকলি বাজার ও কামারপুকুর বাগানবাড়িতে ঘটেছে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা। শহরের বাইপাস সড়কে ছিনতাই হয়েছে বাই সাইকেল। এছাড়া সিপাইগঞ্জ বাজারে ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষন করেছে ধর্ষনকারীরা। কুন্দল এলাকায় ট্রান্সফর্মার এঙ্গেল চুরি, মতির মোড় বাজারে সম্প্রতি ৮টি দোকানে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ধর্ষ চুরি, মোটর সাইকেল ছিনতাইয়ের কর্মকান্ড। ওই সূত্র মতে, এর আগেও শহরের রেলওয়ে কারখনা সংলগ্ন এলাকায় গৃহবধুকে প্রকাশ্য দিবালোকে জবাই করে হত্যা করা হয়। বিকাশকর্মীকে হত্যা করে ২২ লাখ টাকা ছিনতাই ও রোস্তম এন্ড সন্স নামের এক ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পর পর একাধিকবার ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ প্রকৃত কোন আসামীকেই আটক করতে পারেন নাই। রাজনৈতিক নেতা পরিচয়ে রেলওয়ের জমি সহ হিন্দু মাড়োয়ারীর জমি দখল, রেলওয়ের টেন্ডারবাজী ও সাংবাদিকের মোবাইল ছিনতাই, হত্যার হুমকি ও নির্যাতন অব্যাহত থাকলেও কোনপ্রকার দৃষ্টি নেই পুলিশ প্রশাসনেম। উল্লেখিত অপরাধীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দিলেও দালালদের দৌরাত্বের কারনে পুলিশ প্রশাসন মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া মামলা রুজু করে না বলেও অভিযোগ করেন ওই সূত্রটি। যারফলে সাধারণ মানুষ হয়রানীর শিকার হচ্ছে প্রতিনিয়ত। শহরের একটি মহল জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসী, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ সহ দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বদ্ধ পরিকর। তার দলের মধ্যেও যদি কোনপ্রকার সন্ত্রাসী, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ ও দুর্নীতিবাজ থাকে তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সৈয়দপুর শহরে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশকে তোয়াক্কা করছেন না পুলিশ প্রশাসন সহ নেতারা। এরফলে তারা তাদের নিজ নিজ অপরাধকর্মে নিয়োজিত রয়েছে বলে মন্তব্য ওই সূত্রটি করেন।এ ব্যাপারে স্থানীয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন বলেন, সম্প্রতি উপজেলায় আইন শৃংখলার কিছুটা অবনতি হয়েছে সত্য। কিন্তু পুলিশও অপরাধকর্মীদের অপরাধকর্ম বন্ধে তৎপর রয়েছে। অল্প দিনের মধ্যেই সৈয়দপুর উপজেলার অপরাধকর্মীরা অপরাধকর্ম ভুলে যাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।