নগ্ন নৃত্য আর জুয়ার জোয়ারে ভাসছে চিতলমারী
চিতলমারী(বাগেরহাট) প্রতিনিধি:
বাগেরহাটের চিতলমারী নগ্ন নৃত্য আর জুয়ার জোয়ারে ভাসছে। উঠতি বয়সের যুবকরা ভিড় জমাচ্ছে যাত্রা প্যান্ডেল ও জুয়ার আসরে। জুয়ার নাম পাল্টিয়ে রাখা হয়েছে বউ খেলা। এরই পাশাপাশি চলছে মাদক দ্রব্য বেঁচা কেনা এবং মানুষ ঠকানো র্যাফেল ড্র। এ ঘটনায় এলাকার অভিভাবক মহলসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। জানাগেছে, উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর ও রায়গ্রাম এলাকায় ২১ মে রাত থেকে শুরু হয়েছে যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য। সেখানে শারমিন ও অরন্য যাত্রা অপেরার যাত্রা প্রদর্শনীর কথা থাকলেও সারা রাত চলে মেয়েদের নগ্ননৃত্য। আর নগ্নতাকে ঘিরে মঞ্চের পাশে বসে মদসহ বিভিন্ন নেশার আসর। নেশার ঘোরে ও টাকার বিনিময়ে তারা নৃত্যরত মেয়েদের সাথে চরম অশোভন আচরণ করছে। প্রত্যদর্শীরা জানান, ওইসব মাঠেই যাত্রার আগে শুরু হয় ভ্যারাটি শো’র নামে বিভিন্ন স্থান থেকে ভাড়ায় নিয়ে আসা কিশোর বয়সী মেয়েদের অশ্লীল নৃত্যু ও নগ্নতা। অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েদের দিয়ে করানো হয় বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ আচরণ ভঙ্গিমা। এলাকার বাইরে থেকে যাত্রা দলে আসা এসব মেয়েরা যাত্রার মালিক ও এলাকার যুবকদের কাছে জিম্মি হয়ে ভোগের পাত্রী হিসেবে পরিচিত। যাত্রা প্যান্ডেলের সামনে গড়ে উঠেছে জমজমাট জুয়ার আসর। জুয়ার নাম পাল্টিয়ে রাখা হয়েছে বউ খেলা। আর এই জুয়ার আসরে ভিড় করছে উঠতি বয়সের স্কুল কলেজগামী তরুনেরা। এছাড়াও চিতলমারীর সীমান্তবর্তী বাখরগঞ্জেও চলছে নগ্ন নৃত্য ও রমরমা জুয়ার আসর। অভিভাবক মহল চরম ক্ষোভের সুরে জানান, অর্থলোভীরা যাত্রার নামে নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার আসর বসিয়ে এলাকায় চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের মত ঘৃন্য কাজের সুযোগ সৃষ্টি করিতেছে। প্রশাসনের উচিত এই যাত্রা মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়া। এ ব্যপারে শ্রীরামপুর আনন্দ মেলা কমিটির সভাপতি বাবলু জানান, তার অনুষ্ঠানে নগ্ন নৃত্য বা জুয়া চলছে না। অপরদিকে রায়গ্রাম আনন্দমেলার সভাপতির সাথে মুঠোফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। চিতলমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী মুঠোফোনে জানান, যাত্রা অনুষ্ঠানে নগ্ন নৃত্য বা জুয়া চললে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ দিদারুল আলমের সাথে এ ব্যপারে কথা হলে তিনি মুঠোফোনে জানান, নগ্ন নৃত্য ও জুয়ার বিষয় খুবই আপত্তি জনক।