মালয়েশিয়ায় ৩০ গণকবরে শতাধিক লাশ
এবার মালয়েশিয়ায় পাওয়া গেল মানব পাচারের শিকার হতভাগ্য অভিবাসীদের গণকবর। অভিবাসীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি ও মায়ানমারের রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য পের্লিসের দু’টি স্থানে অন্তত ৩০টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে পুলিশের বরাত দিয়ে রোববার (২৪ মে) জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম। পের্লিসের পাডাং বেসারে মানবপাচার চক্রের অন্তত ১৭টি বন্দিশিবির রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মালয়েশীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি সাংবাদিকদের বলেন, খুব সম্ভবত পাঁচ বছর ধরে এই ক্যাম্পগুলো সচল ছিল। তিনি বলেন, একেকটা কবরে তিন অথবা চারটি করে দেহ রয়েছে। কিন্তু আমরা জানি না তাদের মোট সংখ্যা কত। এমন দেহ অথবা দেহাবশেষ আরও পাওয়ার আশঙ্কা করছি আমরা। জাহিদ হামিদি আরও বলেন, মালয়েশিয়ান সরকার এই ঘটনা জড়িত না। তবে যদি প্রশ্নটা ওঠে মালয়েশিয়ার জনগণের ব্যাপারে, তাহলে নিরঙ্কুশভাবে এ দায় এড়ানো যায় না। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে মালয়েশিয়ার দি স্টার অনলাইন জানিয়েছে, শুক্রবার (২২ মে) রাত থেকে গণকবরের স্থানে পুলিশ ও ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দল অবস্থান করছেন। স্থানীয় পুলিশের প্রধান তান শ্রী খালিদ আবু বাকার সোমবার (২৫ মে) সংবাদ সম্মেলনে গণকবরের ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। মালয়েশিয়ার পাডাং বেসার জেলা পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা দি স্টারকে জানান, গণকবরগুলো সংরক্ষিত এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে বেসামরিক লোকের প্রবেশাধিকার নেই। বর্তমানে পুলিশ ওই স্থান ঘিরে রেখেছে। স্থানটি পাহাড়ি এলাকা বলেও জানান তিনি। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মানব পাচারের রুটের মধ্যেই রয়েছে মালয়েশিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকা। আন্দামান সাগর পাড়ি দিয়ে থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য এই রুটটি সবচেয়ে নিরাপদ বলে গণ্য হতো। তবে সম্প্রতি থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে মালয়েশিয়ার সীমান্তবর্তী সংখলা প্রদেশের এক জঙ্গলে অভিবাসী গণকবরে সন্ধান পাওয়ার পর থেকেই রুটটি পরিত্যক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো। মালয়েশিয়ার ইউতুসান সংবাদপত্র পুলিশের বরাত দিয়ে দাবি করেছে, থাইল্যান্ডে সন্ধান মেলা গণকবরের সঙ্গে পের্লিসে পাওয়া গণকবরের কোনো না কোনো যোগসূত্র রয়েছে।