কোটচাঁদপুরে সড়ক সংস্কারের কাজে দুর্নিতির অভিযোগ

Roadজাহিদুর রহমান তারিক : ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার পৌরসভার মধ্যে ৭৩ লাখ টাকা ব্যয়ে ৫ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। কার্যাদেশে ৭ মিলিমিটার সিলকোট দেওয়ার কথা থাকলেও মানা হচ্ছে না নিয়ম। অনিয়মই যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। রোলার করার পরও থাকছে ছোট ছোট গর্ত। ঠিকাদার ও  পৌরসভার কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে চলছে এই অনিয়ম।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোটচাঁদপুর পৌরসভার দুধসরা বাসস্টান্ড থেকে রাজেসশাম এর মিল পর্যন্ত ২ কিলোমিটার ও মেইন বাসস্টান্ড থেকে সলেমানপুর জাবড়াক্ষেত পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্য গত বছর টেন্ডার আহ্বান করা হয়। টেন্ডারে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কাজ পায় মধুবন এন্টার প্রাইজ। শুরু থেকেই কাজে অনিময় শুরু করে তারা। পৌরসভার কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজসে চলতে থাকে। ৭ মিলিমিটার সিলকোট দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হচ্ছে কম। সড়ক ফিনিশিং দেওয়ার পরও থাকছে ছোট ছোট গর্ত। পায়ে পায়ে উঠে যাচ্ছে বিটুমিন মিশ্রিত পাথর। ঠিকাদার প্রভাবশালী হওয়ায় অনেকেই মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। বৃষ্টি শুরু হলেই সংস্কারের কোন আলামত পাওয়া যাবে না বলে ধারণা এলাকাবাসীর। ওই এলাকার শাহিদ হোসেন নামের এক ব্যবসায়ী জানান, কাজ শুরু থেকে তারা অনিয়ম শুরু করেছে। বিটুমিট দেওয়া হচ্ছে কম। রোলার করার পর কোথাও কোথাও গর্ত থেকেই যাচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যে সংস্কারের কাজ পায়ে পায়ে উঠে যাবে বলে তিনি আশংকা করেন। দুধসরা গ্রামের কাঠ ব্যবসায়ী আকরামুলক হক জানান, ৭ মিলিমিটার সিলকোড দেওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু সেখানে ৫ মিলিমিটারের বেশি দেওয়া হচ্ছে না। যে অংশে কাজ শেষ করেছে সেদিকে গেলে দেখা যায় অনিয়মের চিত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একজন জানান, ঠিকাদার প্রভাবশালী, আর পৌরসভার কিছু লোক তাদের সাথে জড়িত। সে কারণে কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও কারচুপি হচ্ছে। পৌরসভা কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করছে।
এ ব্যাপারে পৌর সভার কার্যসহকারী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কাজে কোন ত্রুটি হচ্ছে না, সঠিক নিয়মে সংস্কারের কাজ হচ্ছে । মুল ঠিকাদার মধুবন এন্টারপ্রাইজ এর মালিক খোকন মিয়া ও সাইফুর রহমানকে পাওয়া না গেলেও সাব-কন্টাকটার নজরুল ইসলাম জানান, উচু নিচু গর্ত থাকায় গড়ে ৭ মিলি সিলকোট দেয়া হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সাধারণ মানুষ তা বুঝতে চাচ্ছে না। এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর পৌর সভার মেয়র এস কে এম সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডল জানান, কাজে অনিয়ম হচ্ছে এমন অভিযোগ পেয়েছি। যদি তা সঠিক হয় তাহলে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্থানীয় সরকারের উপজেলা শহর উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতায় এ কাজে যে অনিয়ম ও কারচুপি হচ্ছে তা কর্তৃপক্ষের নজর দেয়ার জন্য দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *