শারীরিক অবনতি, পর্যবেক্ষণে সালাহ উদ্দিন
ঢাকা: বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমদের শারিরীক অবস্থার অবনতি ঘটেছে। তাকে শিলংয়ের একটি বিশেষায়িত হাসপাতালের করোনারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে। আজ শুক্রবার ১২টায় তার স্বাস্থ্যের সর্বশেষ রিপোর্ট প্রকাশের কথা রয়েছে।
বিএনপির এই নেতার পারিবারিক সদস্যরা বলেছেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে তার স্বাস্থ্যের অবনিত ঘটে।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমদকে উদ্ধৃত করে বিএনপির সহ–দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল বিকেল থেকে শারিরীক অবস্থা খারাপ হওয়ায় নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ ও মেডিক্যাল সায়েন্সেস–এর চিকিৎসকরা তাকে (সালাহ উদ্দিন) সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’
হাসিনা আহমদ স্বামীর পাশেই রয়েছেন হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে স্বামীর পাশে থাকার অনুমতি দিয়েছেন।
বুধবার বিকেলে শিলং সিভিল হাসপাতাল থেকে সালাহ উদ্দিনকে ওই হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড তাকে ওই হাসপাতালে পাঠানোর সুপারিশ করে।
ইন্দিরা গান্ধী হাসপাতালের সহকারী মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. ভাস্কর বোরগোহাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘গতকাল বিকেলে থেকে মূত্র প্রদাহ, হৃদরোগ, কিডনি, প্রোস্টেট ও ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন সালাহ উদ্দিন। চিকিৎসকরা তাকে সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন।’
মেঘালয় পুলিশের কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে, পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে যতো শিগগির সম্ভব আদালতে হাজির করাতে চায়। আর এ কারণেই সুচিকিৎসার জন্য তারা তাকে ওই বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে সিভিল হাসপাতালকে অনুরোধ করেন।
মেঘালয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘তারা দুটি কারণে সালাহ উদ্দিনকে বিশেষায়িত হাসপাতালে স্থানান্তর করতে বলেছেন। এর একটি হচ্ছে তার সুচিকিৎসা নিশ্চিত করা। অন্যটি হচ্ছে তাকে যতো দ্রুত সম্ভব আদালতে হাজির করা।’
খবরে বলা হয়েছে, যদি পুলিশ হাসপাতাল থেকে কোনো সিগন্যাল পায় তবে আগামীকাল শনিবার সালাহ উদ্দিনকে আদালতে তোলা হতে পারে।
দুই মাস ‘নিখোঁজ’ থাকার পর গত ১১ মে ভারতের শিলংয়ে সালাহ উদ্দিন আহমেদের খোঁজ পাওয়া যায়। সেখান থেকে তিনি স্ত্রী হাসিনা আহমদকে ফোন করেন। এর মধ্যদিয়ে সালাহ উদ্দিনের নিখোঁজ রহস্যের অবসান ঘটে। কিন্তু তিনি কিভাবে শিলংয়ে গেলেন তা নিয়ে নতুন রহস্য তৈরি হয়েছে যা এখনও উন্মোচিত হয়নি।
বিএনপি জোটের লাগাতার অবরোধের মধ্যে লুকিয়ে থেকে বিবৃতি পাঠিয়ে আসা সালাহ উদ্দিনকে গত ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরার একটি বাড়ি থেকে তুলে নেয়া হয় বলে তার পরিবার দাবি করে আসছে।
হাসপাতালে সালাহ উদ্দিন স্ত্রীকে জানান, তিনি স্বেচ্ছায় ভারতে ঢোকেননি। চোখ–হাত বেঁধে তাকে শিলংয়ে ফেলে দিয়ে যাওয়া হয়েছিল।