টিআইবির রিপোর্ট পর্যালোচনা করবে ইসি

CEC-28833ruuuuঢাকা: সিটি নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে রিপোর্ট দিয়েছে তা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দিন আহমদ।

বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের মিডিয়া সেন্টারে মাগুরা-১ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

টিআইবি নির্বাচনী ব্যয় নিয়ে যে তথ্য প্রকাশ করেছে সে প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘সিটি নির্বাচন নিয়ে টিআইবির রিপোর্টের বিষয়ে সংবাদপত্রে দেখেছি। এছাড়া তাদের কাছে থেকে একটি রিপোর্ট বুধবার সন্ধ্যায় আমরা পেয়েছি। রিপোর্ট দেখে পর্যালোচনা করা হবে। তাছাড়া আমরা প্রার্থীদের ব্যয়ের হিসাব নেই। একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রার্থীরা তাদের ব্যয় রিটার্ন জমা দেয়। ইতোমধ্যে নির্বাচনী ব্যয় জমা দিতে চিঠিও দিয়েছি আমরা। প্রার্থীদের ব্যয়ের রিপোর্ট হাতে পেলে আমরা ব্যবস্থা নেবো।’

কাজী রকিব বলেন, ‘কে নির্বাচনে কতো ব্যয় করেছেন এটা একেকজন একেকভাবে বলবেন, প্রার্থীরা হিসাব দিলেই বুঝতে পারবো। তবে এটা দুরূহ ব্যাপার। সব রিপোর্ট হয়তো সঠিকভাবে হয় না। আমাদের দেখতে হবে। তবে এ ব্যাপারে আমরা সতর্ক আছি।’

ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপ ও টিআইবি দাবি করেছে সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ইলেকশন ওয়ার্কি গ্রুপ নিজেরা কোনো পর্যবেক্ষণ করে না। তাদের সঙ্গে অনেকগুলো নিবন্ধিত সংস্থা রয়েছে। আমরা প্রত্যেক সংস্থাকে পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছি। এদের মধ্যে দুটি সংস্থার রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। তারা বলেছে- দু’একটি বিছিন্ন ঘটনা ছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে।’

সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে ইসির ভূমিকা নিয়ে টিআইবি অভিযোগ করেছে, এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেনা মোতায়েনের বিষয়ে ইসি দোদুল্যমান ছিল না। শুধু করণিক ভুল ছিল। সেটা শুদ্ধ করেছি, বাকি সব ঠিক ছিল। নির্বাচনে সেনা ডাকার প্রয়োজন পড়েনি।’

মাগুরা-১ আসনের উপ-নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সুষ্ঠু রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন শান্তিপূর্ণ করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আশা করি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ আগামী ৩০ মে মাগুরা-১ আসনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবু হাফিজ, ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-সচিব জেসমীন টুলী, গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *