বাগাতিপাড়ায় তথ্য দিতে প্রশাসনের তালবাহানা তথ্য না পেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল
বাগাতিপাড়া প্রতিনিধি : বাংলাদেশের যে কোন নাগরিক সরকারী কাজের সচ্ছতা এবং জবাব দিহিতার জন্য প্রায় সব ধরনের কর্তৃপক্ষের কাছে (নিরাপত্তা ও বৈদেশিক সম্পর্ক জনিত কাজে জড়িত ছাড়া) তাদের কাজ সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জানতে চাইতে পারে। যাতে করে দেশ ও দশের উপকার হয়। “তথ্য অধিকার আইন ২০০৯” এর ৮(১) ধারা মতে বাংলাদেশের একজন নাগরিক তথ্য পাওয়ার আবেদন ও আইনের ৯(১) ধারার ভিত্তিতে আবেদনকারীকে উল্লেখিত বিষয়ে নির্ধারিত ২০কার্র্য্য দিবসের মধ্যে তথ্য প্রদানের বিধান থাকলেও নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তথ্য দিতে নানা রকম তালবাহানার অভিযোগ উঠেছে। বাগাতিপাড়া উপজেলার তথ্য আবেদনকারী কয়েকজন ভুক্তভোগীদের অভিযোগ তথ্য পাওয়ার আবেদন করলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাগণ তথ্য নিয়ে কি করা হবে এমন নানা ধরনের প্রশ্ন করে আবেদনকারীদের বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলা হয়। এমনকি রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের বরাত দিয়ে তথ্য না দেয়ার পায়তারা করা হয়ে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের সাজদার রহমানের ছেলে মিজানুর রহমান গত ২২মার্চ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বরাবর ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছরে টিআর/কাবিখা প্রকল্পের প্রাপ্তি ও খরচের তথ্য চেয়ে একটি লিখিত আবেদন করেন। আবেদন করার পরে তথ্য প্রাপ্তির নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও তথ্য না দেয়ায় ২০ মে তারিখে জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করেন।
তথ্য আবেদনকারী মিজানুর রহমান বলেন, “আমি তথ্য আবেদন করার পরে বেশ কয়েকদিন অফিসে গিয়েও তথ্য পাওয়া তো দুরের কথা উল্টো আমাকে নানা ধরনের কথা বলে নিরুৎসাহি করা হয়। অফিসে থাকা ইসলাম নামের এক ব্যক্তি আমাকে এক রাজনৈতিক দলের নেতার বরাত দিয়ে বলেন এই তথ্য দেয়া নিষেধ আছে তাই স্যার আপনাকে তথ্য দিবেনা অযথা বসে থেকে আপনার সময় নষ্ট হবে। তাই আমি ওই তথ্য না পেয়ে ২০মে জেলা প্রশাসক বরাবর আপিল করি। ”
আর একজন ভুক্তভোগী মাহাবুর রহমান জানান, ইতি পূর্বে কয়েকবার তথ্য আবেদন করে আমি না পেয়ে হতাস হয়েছি।
এ বিষয়ে বাগাতিপাড়া উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আঃ রাজ্জাক তথ্য আবেন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি তাকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি না। তার সাথে আমার কোন কথাই হয়নি।