খুলনা জেলা পরিষদের অর্থায়নে কয়রায় নির্মাণাধীন বহুতল ডাকবাংলা ভবনের কার্যক্রম এগিয়ে চলেছে
কয়রা থেকে আশরাফ : সুন্দরবনে ভ্রমন পিপাসু ও কয়রার গোলখালীতে প্রস্তাবিত পর্যটন কেন্দ্রের পর্যটকদের সুবিধার্থে খুলনার কয়রা উপজেলায় নির্মাণ করা হচ্ছে বহুতল ভবনের ডাকবাংলা। খুলনা জেলা পরিষদের অর্থায়নে সোয়া ৩ কোটি টাকায় নির্মানাধীন ডাকবাংলা ৪র্থ তলার কাজ সমাপ্তির পথে এবং ৫ম তলার কাজ প্রক্রিয়াধীন। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায় কয়রা উপজেলা সদরের কপোতাক্ষ নদীর পাড়ে মদিনাবাদ লঞ্চ ঘাট সংলগ্ন ১ একর জমির উপর আধুনিক মানের নির্মানাধীন বহুতল ডাকবাংলা ভবন ইতিমধ্যে সব পেশার মানুষের নজর কেড়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে বিগত ১৯৯৬ হতে ২০০১ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকা কালে খুলনার শেষ প্রান্তে (কয়রায়) সুন্দরবনের পার্শ্বে আড় পাঙ্গাশিয়া নদীর তীরে গোলখালী সিংহের চরে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তলার চেষ্টা চালানো হয়। সূত্র জানায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কয়রা ও পাইকগাছার সংসদ সদস্য এ্যাড. শেখ নূরুল হক (বর্তমান সংসদ সদস্য) পর্যটন কেন্দ্রের ব্যাপারে ব্যাপক ভূমিকা নিয়ে ছিলেন। তিনি সে সময় পর্যটন কেন্দ্রের আন্তর্জাতিক মহাসচিবকে ২ বার সম্ভাব্য স্থান অর্থাৎ ২০০শত একরের সিংহের চর পরিদর্শন করিয়েছিলেন। কিন্তু ২০০১ সালে জোট সরকারের সময় এর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর শেখ হাসিনার সরকার আবার ক্ষমতা আসায় নতুন করে পর্যটন কেন্দ্র নির্মানের ভাবনা শুরু হয়। জানাগেছে খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক হুইপ শেখ হারুনুর রশিদ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কয়রা উপজেলায় পর্যটকদের সুবিধার্থে ডাক বাংলা নির্মানের প্রস্তুতি গ্রহন করেন। কেননা তিনি বিগত ১ দশকে অর্ধশতবার রাজনৈতিক সফরে কয়রায় এসেছিলেন, তবে রাত্রি যাপনে সুব্যবস্থা না থাকায় খুলনায় ফিরে যেতে হতো। এরপর তিনি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থাৎ জেলা পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্ব পেয়েই কয়রায় পর্যটক ও সুন্দরবন পিপসুুদের কথা ভেবে কয়রার ডাকবাংলা নির্মাণের উদ্দ্যোগ নেন। জানা গেছে ২০১২-১৩ অর্থ বছরের শেষ সময় মেসার্স খান ইন্টার ন্যাশনাল ১ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকায় মাটি ভরাট, বাউন্ডারী ওয়াল সহ ২য় তলা ভবনের কাজ শেষ করেন। এরপর ২০১৪ ও ১৫ অর্থ বছরে মেসার্স বিশাল ট্রেডার্স ৬০ লক্ষ টাকায় ৩য় ও ৪র্থ তলার কাজ প্রায় শেষ করেছেন এবং ৫ম তলার নির্মাণ কাজ প্রক্রিয়াধীন। সুত্র জানায় ইতিমধ্যেই অনেক সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তা বাংলোর ২য় তলায় রাত্রি যাপন করছে এবং খুব শ্রীঘ্রই ৩ ও ৪ তালায় থাকার ব্যবস্থা করা হতে পারে। এ বিষয় খুলনা জেলা পরিষদ প্রশাসক শেখ হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, সুন্দরবন ঘেরা কয়রা উপজেলায় ভবিষ্যতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে এবং সুন্দরবন ভ্রমণ পিপাসুদের সুবিধার্থে কয়রায় একটি আধুনিক মানের ডাকবাংলা করা হলে সরকারের আয় বাড়বে এবং খুলনার কয়রা উপজেলায় পর্যটকদের আগমন বৃদ্ধি পাবে। তিনি বলেন খুলনা শহর হতে শত কিঃ মিটার দূরে হলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা খুবই ভাল থাকায় কয়রায় আধুনিক মানের ডাকবাংলা নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এছাড়া সরকারী অনেক কর্মকর্তারাও ভাল বাসা না পাওয়ায় কয়রা থেকে বদলী হওয়ার চেষ্টা করেন। সে কারনে জেলা পরিষদের অর্থায়নে দ্রুত নির্মানাধীন ডাকবাংলার কাজ করা হচ্ছে, যার নির্মাণ কাজ শীঘ্রই শেষ হবে।