বগুড়ায় মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহৃত যুবককে ছেড়ে দিল অপহরণকারীরা

oporadhবগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার কাহালুতে এক যুবককে অপহরনের ১ দিন পর ৩০ হাজার টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে অপহরনকারীরা। এ ঘটনায় মামলা না করার জন্য প্রতিনিয়ত যুবককের পরিবারকে হুমকি প্রদান করছে অপহরনকারীরা ভয়ে তারা আইনের সহায়তা নিতে পারছে না।
জানা যায়, কাহালু উপজেলার কালাই ইউনিয়নের পিলকুঞ্জ ফকির পাড়া গ্রামের সাদেক আলীর পুত্র শহিদুল ইসলাম (২২)কে রোববার সন্ধ্যায় অপহরন করে দূর্বৃত্তরা। পরেরদিন সোমবার পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপনের ৩০ হাজার টাকা নিয়ে শহিদুল ইসলামকে ছেড়ে দিয়েছে অপহরনকারীরা। এই ঘটনায় এলাকায় চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে গিয়ে উপজেলার পিলকুঞ্জ ফকির পাড়া গ্রামের অপহৃত শহিদুল ইসলাম এর পিতা সাদেক আলী ও তার মা ছফিলা বেগম এর সাথে কথা বলা হলে তারা জানান, গত রোববার সন্ধ্যায় শহিদুল ইসলামকে একই গ্রামের আমজাদের পুত্র জহুরুল ইসলাম, আনছেরের পুত্র রাশেদুল ইসলাম ও পিলকুঞ্জ থলপাড়া (আঠালিয়া) গ্রামের মৃতঃ আফছারের পুত্র এজাহান মোবাইল ফোনে পিলকুঞ্জ গ্রামের জাপসার গাড়ী নামক স্থানে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর হতে সে আর বাড়ীতে ফিরে আসেনি। গভীর রাতে মোবাইল ফোনের ০১৭৩৫-৭৫১২১৩ নম্বর হতে শহিদুল ইসলাম এর পিতা সাদেক আলীকে অপহরনকারীরা জানান, আপনার ছেলেকে আমরা অপহরন করেছি। আমাদেরকে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দিতে হবে, মুক্তিপনের টাকা না দিলে আমরা আপনার ছেলেকে মেরে ফেলব। তারপর হতে অপহরণকারীরা বিভিন্ন মোবাইল ফোন হতে শহিদুলকে মারপিট করে তার পিতামাতার সাথে কথা বলান এবং মুক্তিপনের টাকা নিয়ে কথাবার্তা চলে। গত সোমবার তার পরিবারের কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে অপহরণকারীরা শহিদুল ইসলামকে দুপচাঁচিয়ার চৌমুহানী এলাকায় ছেড়ে দেয়। অসুস্থ অবস্থায় শহিদুলকে তার বড় ভাই সাইফুল ইসলাম ও তার দুলাভাই তাকে বাড়ীতে নিয়ে আসেন। শহিদুলের পিতা জানান, অপরহরনকারীরা প্রতিনিয়ত মামলা না করার জন্য হুমকি প্রদান করছে এবং বর্তমানে তারা চরম নিরাপত্তা হীনতায় ভূগছেন। বিষয়টি জানার জন্য জহুরুল ইসলাম ও রাশেদুল ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদেরকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপরে কাহালু থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সমিত কুমার কুন্ডুর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, এই ঘটনায় থানায় এখনো কেউ অভিযোগ করেননি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *