মানবপাচার রোধে মায়ানমার সীমান্তে বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত
ঢাকা: মানবপাচার রোধে কক্সবাজারের মায়ানমার সীমান্তকে আরো সুরক্ষিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই অরক্ষিত সীমান্তের আড়াইশ কিলোমিটারে বিজিবি মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপাকালে এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘মানবপাচার রোধে সমুদ্রে মাছ ধরা জেলেদের আলাদাভাবে পরিচয়পত্র দেয়া হবে। আর মালামাল পরিবহনের ট্রলারগুলোতে পৃথক পৃথক নম্বরপ্লেট থাকবে ।
‘পাচারকারীদের গডফাদারদের’ও ছাড় দেয়া হবে না বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘অবৈধভাবে বিদেশে যাওয়ার জন্য সাগর পাড়ি দেয়া অভিবাসীদের মধ্যে এখন যারা সমুদ্রে ভাসমান তাদের মধ্যে বাংলাদেশির সংখ্যা কম। আর সাগরে আটকা পড়া ট্রলারের মধ্যে বাংলাদেশের ট্রলার নেই।’
এছাড়া সমুদ্রসীমায় নজরদারি বৃদ্ধি, মানবপাচার রোধ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধে কোস্টগার্ড বহরের ক্ষমতা বাড়াতে ‘এনহ্যান্সমেন্ট অব অপারেশন ক্যাপাবিলিটি অব বাংলাদেশ কোস্টগার্ড’ নামে ৪৬৮ কোটি টাকার প্রকল্পসহ ৮টি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদনের পর পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোস্টগার্ডের অপারেশন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে এ প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছি। এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। পত্রপত্রিকায় আপনারা দেখছেন মানবপাচার সম্পর্কে সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে। এ কারণে আমরা কোস্টগার্ডের সক্ষমতা বাড়াতে এ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছি। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘এ প্রকল্পে ব্যয় হবে ৪৬৮ কোটি ২৩ লাখ টাকা। সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে প্রকল্পটি।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সমুদ্র সীমায় নজরদারি বৃদ্ধি, মানবপাচার রোধ, চোরাচালান প্রতিরোধ ও অবৈধ মৎস্য আহরণ বন্ধ হবে। এ প্রকল্পের অধীনে জলযান ও সরঞ্জামাদি সংগ্রহের তালিকায় আছে ইনশোর প্যাট্রেল ভেসেল ৩টি, হাইস্পিট বোট বড় ৬টি, ভাসমান ক্রেন ১টি, অফিস সরঞ্জামাদি ১৩টি এবং ফার্নিচার ৩৩টি।’