দেখার কেউ নেই : নলছিটি খিরাকাঠি সরকারী প্রাথামিক বিদ্যালয়টির বেহালদশা
বরিশাল : ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১৪১ নং খিরাকাঠি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি’র বেহাল দশা দেখার যেন কেউ নেই। কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ও উদাসীনতার কারনে প্রতিটি মুহূর্ত আতংকে কাটাচ্ছে বিদ্যালয়টির শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বৃন্দ। ১৯৯০ সালে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হলেও মানহীন নির্মান সামগ্রী ব্যাবহার করায় মাত্র ২৪ বছরের মাথায় বিদ্যালয়ের ছাদ ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে। বেশ কয়েক জন শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি এলেই ছাদ থেকে শ্রেণী কক্ষের ভিতরে পানি পড়ে। এতে প্রায়শ:ই তাদের বই-খাতা ও পোশাক-পরিচ্ছদ ভিজে যায়। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হারুন অর রশিদ জানান ভবনটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ন হওয়ায় অবিভাবক বৃন্দ তাদের ছেলে-মেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অনীহা প্রকাশ করছে ও অন্যান্য বিদ্যালয়ে ভর্তির চিন্তা করছে। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক জামাল আব্দুল নাসের এ প্রতিবেদককে জানান, বর্তমানে বিদ্যালয়টি পাঠ দানের প্রায় অযোগ্য হয়ে পড়েছে। তার পরও শিক্ষকগন অতি কষ্টে অধ্যায়নরত ১০৪ জন ছাত্র-ছাত্রীদের অক্লান্ত পরিশ্রম করে পরম যতেœ পাঠদান করে যাচ্ছেন। এ স্বনামধন্য বিদ্যাপীঠ থেকে প্রতিবছর ট্যালেন্টপুল সহ নানা গ্রেডে ছাত্ররা বৃত্তি পেয়ে আসছে। বিগত বছর গুলোতে পি এস সি পরীক্ষায় শতভাগ শিক্ষার্থী পাশ করেছে। কিন্তু অবকাঠামোগত সমস্যা সমাধান করা না হলে যে কোন সময় রানা প্লাজার মত বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ সমস্যা সমাধানে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন। এদিকে সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়টি অত্যন্ত ঝুকিপূর্ন। ছাদের প্লাষ্টার ধ্বসে রড গুলো বেরিয়ে এসেছে, কলাম গুলোতে ফাটল ধরেছে। এতে যেকোন সময় ভবনটির ছাদ ধ্বসে পড়তে পারে। তাই জনস্বার্থ বিবেচনা করে জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়টি সংস্কার করা দরকার বলে মনে করেন এলাকার সর্বসাধারন।