‘চীন-ভারত মিত্রতাকে ভয় করে পশ্চিম’
চীন : চীনের রাষ্ট্রপ্রধান শি চিনপিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মিলিতভাবে ভবিষ্যত শক্তিশালী মিত্রতা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। সাক্ষাতকালে মোদিকে চিনপিং বলেন, ‘পার্থক্যগুলো নিয়ন্ত্রণে রেখে, সহযোগীতাকে বৃদ্ধি করে এশিয়ার দুই শক্তিধর একসঙ্গে এগিয়ে যাবে।’
বৃহস্পতিবারের ঘরোয়া আলাপে শি মোদিকে বলেছেন, ভারত ও চীন ভবিষ্যতে দ্বিপাক্ষিক বিতর্কিত ইস্যুগুলোয় ছাড় দেবে, পরস্পরের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ইস্যুতে অনাকাঙ্ক্ষিত হস্তক্ষেপ করবে না। আর এভাবেই বিগত কয়েক দশকের অবিশ্বাস আর অনাস্থার ইতিহাস মুছে দিয়ে আর্থসামাজিক উৎকর্ষের চূড়া ছোঁবে দুই দেশ।
শি জিনপিংএর ক্ষমতাসীন সমাজতান্ত্রিক দলের শক্তিশালী মুখপত্র পিপল’স ডেইলি তাদের সম্পাদকীয়তে লিখেছে, চীন ও ভারতের মিত্রতাকে পশ্চিমের অভিজাত কূটনীতিপাড়া মোটেই ভালো চোখে দেখে না, বরং সন্দেহের চোখে দেখে, এ মিত্রতাকে তারা ভয় করে। কারণ এই দুই দেশ একীভূত হলে তারা যে ভবিষ্যত এশিয়ার ছক এঁকে রেখেছে, তা ভণ্ডুল হয়ে যাবে।
শুক্রবার চীনের রাজধানী বেইজিংএর গ্রেট হল অব পিপলএ নরেন্দ্র মোদি মুখোমুখি হন চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংএর। এখানে শিক্ষাখাত, যোগাযোগব্যবস্থা, আভ্যন্তরীণ খনিজ উত্তোলনসংক্রান্ত মোট ২৪টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভারত ও চীনের প্রতিনিধিদ্বয়। চুক্তিসমূহের আওতায় দুই দেশের মধ্যে প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন সংঘটিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।