সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারে ঢাকার রেড নোটিশ
ঢাকা: বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে গ্রেপ্তার করতে ইন্টারপোলের ঢাকা ইউনিট ভারত সরকারের কাছে রেড নোটিশ পাঠিয়েছে।
কলকাতার টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত এক রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে।
বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন মেঘালয়ের শিলংয়ে সিভিল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার সকালে সেখানকার পুলিশ তাকে ধরে এনে হাসপাতালে ভর্তি করায়।
খবরে বলা হয়েছে, সালাহ উদ্দিন ওই দিন ভোরে শিলংয়ের পোলো গ্রাউন্ড মাঠে উদ্দেশ্যহীনভাবে ঘোরাফেরা করছিলেন।
পরে সালাহ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি তার দেশে অপহৃত হন। তবে তিনি কিভাবে ভারতে গেলেন সে ব্যাপারে এখনো কিছু জানা যায়নি।
সালাহ উদ্দিনের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত ১০ মার্চ থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
ভারতে ভ্রমণের বৈধ কোনো কাগজপত্র না পাওয়ায় মেঘালয় পুলিশ সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মেঘালয় পুলিশের মহাপরিচালক রাজিব মেহতা টেলিগ্রাফকে জানান, সালাহ উদ্দিনকে গ্রেপ্তারের জন্য ইন্টারপোলের ঢাকা ইউনিট একটি রেড নোটিশ পাঠিয়েছে। তবে নোটিশটি সালাহ উদ্দিন ভারতে যাবার আগে না পরে ইস্যু করা হয়েছে তা জানা যায়নি। গতকাল (বুধবার) সিবিআইয়ের মাধ্যমে মেঘালয় পুলিশ নোটিশটি পেয়েছে।’
তবে মেঘালয় সরকার এখনো সরকারিভাবে সালাহ উদ্দিনের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে কিছু জানায়নি। কারণ, এখনো তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
পুলিশ বলছে, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবার পরেই কেবল সালাহ উদ্দিনকে তারা জিজ্ঞাসাবাদ করার সুযোগ পাবেন।
পুলিশের ইস্ট খাসি হিল সুপার এম খারক্রাং বলেন, সরকারিভাবে এখনো সালাহ উদ্দিনের বিষয়টি নথিভুক্ত হয়নি। হাসপাতাল থেকে আমরা তার ছাড়া পাবার অপেক্ষায় আছি। এর পরেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
তিনি জানান, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেই বিএনপির ওই নেতাকে আদালতে তোলা হবে।
সালাহ উদ্দিনের স্ত্রী হাসিনা আহমেদ স্বামীর কাছে যাবার জন্য ভারতের কাছে ভিসা আবেদন করেছেন। ভিসা পেলেই তিনি শিলং যাবেন বলে জানা গেছে।
মেঘালয় পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, যদি সত্যিকার অর্থেই সালাহ উদ্দিন তার দেশে অপহৃত হয়ে থাকেন তবে কীভাবে এবং কেন তিনি ভারতে ঢুকলেন তার ওপর জিজ্ঞাসাবাদে জোর দেয়া হবে।
শিলং সিভিল হাসপাতালের কারডিওলজিস্ট ডা. ডি জে গোস্বামী জানান, সালাহ উদ্দিন শারিরীক ও মানসিকভাবে সুস্থ্য রয়েছেন। তবে তার স্বাস্থ্যের অবস্থা নিশ্চিত হতে বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
তিনি জানান, আমি তাকে কিডনি ও হার্টের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা করাতে দিয়েছি। সেগুলো এখনো সম্পন্ন হয়নি।
ডা. গোস্বামী বলেন, চিকিৎসকরা তাকে সব দিকে সুস্থ্য মনে করলেই কেবল তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে।