বেগমগঞ্জের হাজীপুরে সন্ত্রাসী হামলা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুট : থানায় মামলা
নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী বেগমগঞ্জ পৌরসভাধীন হাজীপুরে গত ২ ‘মে’ ২০১৫ শনিবার দুপুরে স্থানীয় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী হামলায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সহ বসত ঘর ভাংচুর, আগ্নেয়াস্ত্র সহ দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত এবং এলোপাতাড়ি গুলি করা হয়। গুলিতে ৮ জন আহত হয়। ২য় ঘটনাটি ঘটে ৩ ‘মে’ ২০১৫ রবিবার সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে হাজিপুর সাকিনস্থ দুলাল মিয়ার বাড়ীর দরজায়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার দুপুরে স্থানীয় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে চৌমুহনী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ মোঃ ইসমাইল ছেলেদেরকে থেকে চাঁদা দাবী করে। ছেলেরা চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে মোঃ ইসমাইল তাদের মারধর করে। পর দিন মোঃ ইসমাইল রাগে ক্ষোভে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬.৩০ টার সময় তার দলীয় ২০/৩০ জন সন্ত্রাসী নিয়ে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র দা, ছেনী, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, রামদা, পিস্তল, বাঁশের লাঠি ও আগ্নেয়াস্ত্র সহ স্থানীয় দুলাল মিয়ার বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে ব্যাপক ভাবে ভাংচুর করে এবং ঘরে রক্ষিত মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। এর পর ভূঁঞা বাড়ীর কবির মিয়ার বেকারী, দুলাল মিয়া, কামাল, হাবিব উল্যা, মমিন উল্যা, নুরু মিয়া, আবুল কাশেম ভূঁইয়া, ডিপটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ও বসত ঘরে হামলা করে ফ্রিজ, টেলিভিশন, আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার, মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগিরা জানান। সন্ত্রাসীদের বাধা দিলে রায়হান, ফিরোজ, ফুলক, আজাদ, হাবিবুল্লাহ, হারুন, অন্তু ও মিন্টু মারাত্মক আহত হয়। আহতদের এলাকাবাসী উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা করান। ঘটনার পর বেগমগঞ্জ থানা কর্তৃপক্ষ, চৌমুহনী পৌরসভার মেয়র, নোয়াখালী-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য, চৌমুহনী পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মী সহ সাংবাদিকবৃন্দ সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ বিষয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হয়। মামলা নং-১০/২০১৫।