কাহালুতে জ্যৈষ্ঠ মেলাকে কেন্দ্র করে দু’ গ্রামবাসীর সংর্ঘষ : মহিলা সহ আহত-৬
কাহালু (বগুড়া) প্রতিনিধি : কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের কুশলিহার-মহিষামুড়া জ্যৈষ্ঠ (জামাই) মেলার পরিচালনার কমিটির অংশিদারিত্ব নিয়ে দু’ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মহিলা সহ কমপক্ষে ৬ আহত হয়েছে।
জানা গেছে কাহালু উপজেলার পাইকড় ইউনিয়নের কুশলিহার-মহিষামুড়া গ্রামের মাঝখানে প্রতিবছর জ্যৈষ্ঠ মেলা অনুষ্ঠিত হয়।এ মেলা পরিচালনা কমিটির অংশিদারিত্ব নিয়ে কুশলিহার ও মহিষামুড়া গ্রামবাসীর মধ্যে বেশ কিছুদিন যাবত দ্বন্দ চলে আস্ছে। বৃহস্পতিবার সকালে কুশলিহার গ্রামে মেলা কমিটির অংশিদারিত্ব নিয়ে দু’ গ্রামবাসীর মধ্যে এক সভার আয়োজন করা হয়। উক্ত সভায় পাইকড় ইউ পি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন, ইউ পি সদস্য আব্দুস সাত্তার, আসাদুজ্জামান আসাদ সহ দু’ গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। কমিটির অংশিদারিত্ব নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে মারা-মারি ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া বসতবাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় ইউ পি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে চলে যান। সংঘর্ষে কুশলিহার গ্রামের আফরোজা বেওয়া (৬০) আয়েন উদ্দিন (৩৫), বুলু মিয়া (৪৫), হেলাল উদ্দিন (২৬), আবু হাসান (৩০) ও মহিষামুড়া গ্রামের রাহেলা বেওয়া (৫৬)। আহত হয়। আহতদের বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে কাহালু থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পাইকড় ইউ পি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন এর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, আলোচনা সভা চলাকালে উভয় গ্রামবাসী হঠাৎ করে উত্তোজিত হয়ে মারপিটের এ ঘটনা ঘটায় আমি সেখান থেকে চলে এসে থানা পুলিশকে অবগত করি। এ রিপোট লেখা পর্যন্ত থানায় কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।